জুমবাংলা ডেস্ক : বগুড়ার শেরপুরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র্র করে ৫ মাসের গর্ভবতী এক গৃহবধূর পেটে লাথি দিয়ে বাচ্চা হত্যার ঘটনা ঘটেছে।
এই অভিযোগে বৃহস্পতিবার রাতে শেরপুর থানায় ৭ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের হয়েছে।
সূত্র জানায়, গত মঙ্গলবার সকালে উপজেলার খামারকান্দি ইউনিয়নের পারভবানীপুর পশ্চিম পাড়া গ্রামের হায়দার আলীর ছেলে আলাল হোসেন প্রতিবেশী জাবেদ আলীর বাড়ির সামনে কাশেম মাস্টারের ছেলে চান্দু মিয়ার জায়গায় গরুর আবর্জনা ফেলেন।
এই নিয়ে জাবেদ আলীর স্ত্রী রেহেনার সঙ্গে আলালের কথা কাটাকাটি হয়। এর জেরে আলাল উত্তেজিত হয়ে রেহেনাকে মারধর করতে থাকে। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন বাড়ির ভেতর থেকে এগিয়ে আসলে জাবেদ ও তার ছেলে জনিকেও মারধর করা হয়। এ সময় জনির স্ত্রী ৫ মাসের গর্ভবতী সুলতানা এগিয়ে আসলে তার পেটে লাথি মারলে সে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে।
স্থানীয় লোকজন আহতদের উদ্ধার করে শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখানে সুলতানার অবস্থার অবনতি হলে তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। পরে ওই গৃহবধূর পেটে ব্যথা শুরু হলে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শেরপুর শহরের একটি ক্লিনিকে পরীক্ষা করে দেখা যায়, গর্ভের বাচ্চা মারা গেছে।
এ ঘটনায় গৃহবধূর স্বামী জনি বাদি হয়ে শেরপুর থানায় ৭ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
এ ব্যাপারে শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম শহিদ বলেন, এ ঘটনায় একটি অভিযোগ পেয়েছি। আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।