পেঁপের গুণ সম্পর্কে তো আমরা সবাই জানি। খেতে যেমন সুস্বাদু, গুণেও তেমন ভরপুর এই ফল। তবে এর বীজের স্বাস্থ্যগুণ সম্পর্কে অনেকেই কিন্তু অবগত নন। পেঁপের বীজ বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করতে ও স্বাস্থ্য ভালো রাখতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। এই বীজে রয়েছে প্রচুর পরিমানে প্রোটিন, ফাইবার, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও ফসফরাস। এ ছাড়া এতে উপস্থিত প্যাপেইন, ফ্ল্যাভোনয়েড এবং পলিফেনলের মতো শক্তিশালী বায়োঅ্যাকটিভ যৌগ শরীরের জন্য অনেক উপকারী। চলুন জেনে নেওয়া যাক, পেঁপে বীজের পুষ্টিগুণ আর স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে।
১. হজমশক্তি বাড়ায়
পেঁপে বীজে রয়েছে প্রাকৃতিক এনজাইম প্যাপেইন এবং ফাইবার, যা খাবার হজমের প্রক্রিয়া সহজ করে তোলে। এটি প্রোটিনকে ভেঙে শরীরের জন্য শোষণযোগ্য করে তোলে। পেঁপে বীজ খেলে গ্যাস্ট্রিক, বদহজম ও কোষ্ঠকাঠিন্যর মতো সমস্যা দূর হয়। পাশাপাশি এটি অন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্যও ভালো, যা সামগ্রিকভাবে হজমশক্তিকে উন্নত করে।
২. লিভার ভালো রাখে
লিভার আমাদের শরীরের প্রধান ডিটক্সকারী অঙ্গ। পেঁপে বীজে উপস্থিত অ্যান্টি অক্সিডেন্ট আর বায়োঅ্যাকটিভ উপাদানগুলো লিভারকে টক্সিনমুক্ত করে এবং এর কার্যকারিতা বাড়ায়। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, পেঁপে বীজ ক্ষতিগ্রস্ত লিভারের কোষগুলোকে পুনরুদ্ধারে সহায়ক। বিশেষ করে, যাঁরা লিভারের সমস্যায় ভুগছেন, তাঁদের জন্য এটি বেশ উপকারী।
৩. ক্ষতিকর পরজীবীর হাত থেকে বাঁচায়
পেঁপে বীজে উপস্থিত কারপাইন নামের অ্যালকালয়েড পরজীবী আর অন্ত্রের কৃমি দূর করতে অত্যন্ত কার্যকর। এটি অন্ত্র পরিষ্কার রাখতে এবং হজম না হওয়া খাদ্যকণা ভালোভাবে বের করতে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গেছে, পেঁপে বীজ অন্ত্রের সংক্রমণ প্রতিরোধেও বেশ কার্যকর।
৪. প্রদাহরোধী ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট গুণসম্পন্ন
পেঁপে বীজে উপস্থিত অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান শরীরের প্রদাহ কমায়। এটি অস্থিসন্ধির ব্যথা বা গেঁটেবাতের মতো রোগের উপশমে সহায়ক। অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপাদান শরীরের কোষগুলিকে ফ্রি রেডিক্যালের হাত থেকে রক্ষা করে এবং বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন সমস্যা কমায়।
সতর্কতা
অতিরিক্ত পেঁপে বীজ খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। গর্ভবতী বা দুগ্ধদানকারী মায়েদের জন্য এটি এড়িয়ে চলাই ভালো। এছাড়া দীর্ঘমেয়াদি কোনো স্বাস্থ্য সমস্যা থাকলে খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।