জুমবাংলা ডেস্ক : গাজীপুর মহানগরির পূবাইলে সংঘবদ্ধ অপরাধীচক্রের অপকর্ম জেনে ফেলায় হত্যা করা হয় অটোরিকশাচালক তুহিনকে। এই চক্রের এক সদস্যকে গ্রেফতারের পর বেরিয়ে আসছে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য।
গত ২০ ফেব্রুয়ারি অটোরিকশাচালক তুহিনকে হত্যার পর ড্রেনের ভেতর বালু চাপা দিয়ে লাশ গুম করে চক্রটি। হত্যাকাণ্ডের তিন দিন পর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় পূবাইল থানায় হত্যা মামলা দায়েরের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ঘটনার ক্লু উদঘাটন করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত অপরাধীচক্রের এক সদস্যকে গত শনিবার সন্ধ্যায় গ্রেফতার করে মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জিএমপি ডিবির উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) আবুল হাসান হাওলাদার জানান, জিএমপি উপ-পুলিশ কমিশনার, গোয়েন্দা বিভাগ (দক্ষিণ) মোহাম্মদ নূরে আলমের নিবিড় তত্বাবধানে তারা আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ঘটনার ক্লু উদঘাটন ও অপরাধীর অবস্থান চিহ্নিত করতে সক্ষম হন। অবশেষে গত শনিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে পূবাইল করমতলা এলাকা থেকে অপরাধীচক্রের এক সদস্য রুহুল আমিনকে (৩৭) গ্রেফতার করা হয় এবং তার কাছ থেকে নিহত তুহিনের ব্যবহৃত একটি মোবাইল ফোন জব্ধ করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে রুহুল আমিন জানায়, তাদের একটি অপকর্ম জেনে ফেলায় তুহিনকে হত্যা ও লাশ গুম করা হয়। তবে এই অপরাধীচক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেফতারের স্বার্থে ঘটনার বিস্তারিত উল্লেখ করেনি পুলিশ।
উল্লেখ্য, গাজীপুর মহানগরের পূবাইলে সিটি করপোরেশনের নির্মাণাধীন একটি ড্রেন থেকে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি প্রথমে অজ্ঞাত হিসেবে অটোরিকশাচালক তুহিনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে তুহিনের মা পূবাইল থানায় গেলে ছেলের লাশ শনাক্ত করেন এবং অজ্ঞাত দুর্বৃত্তদের আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন। জিএমপি কমিশনার মামটির তদন্তের দায়িত্ব দেন ডিবির এসআই আবুল হাসানকে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।