জুমবাংলা ডেস্ক : নওগাঁর মহাদেবপুরে বার্ষিক পরীক্ষা দেওয়ার জন্য বিদ্যালয়ে যাওয়ার সময় পথ থেকে নবম শ্রেণির পরীক্ষার্থীকে প্রকাশ্য দিবালোকে অপহরণ করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। ঘটনার আড়াই মাস পেড়িয়ে গেলেও অপহরণের শিকার শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। তবে অপহরণকারীর পক্ষ থেকে অপহরণের শিকার পরীক্ষার্থীর পরিবারকে বলা হয়েছে অপহরণকারী যুবককে জামাই হিসাবে মেনে নিলেই মেয়েকে উদ্ধার করা সম্ভব!
অপহরণকারীদের পক্ষ নিয়ে অপহরণের শিকার (নাবালিকা) নবম শ্রেণিতে পড়া মেয়েকে অপহরণকারীর সাথে বিয়ে মেনে নেওয়ার জন্য শিক্ষার্থীর পরিবারকে চাপ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।
অপহরণের শিকার পরীক্ষার্থীর পিতা সুরেশ চন্দ্র মন্ডল জানান, আমার নাবালিকা মেয়ে লাবনী মন্ডল (১৪) পাশ্ববর্তী রসুলপুর উচ্চ-বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করতো। বিদ্যালয়ে যাওয়া-আসার পথে একই গ্রামের মৃত বৈদ্যনাথ হাওলাদারের কলেজ পড়ুয়া লম্পট ছেলে মোহন চন্দ্র হাওলাদার (২২) ও তার সহযোগীরা বিভিন্নভাবে প্রেমের প্রস্তাবসহ অশ্লীল মন্তব্য করে। এক পর্যায়ে মেয়েটি ঘটনাটি বাড়িতে জানালে, আমরা প্রাথমিকভাবে ছেলেটি ও তার পরিবারে লোকজনকে জানিয়ে এমন আচরণ করতে নিষেধ করি।
অপহরণের শিকার পরীক্ষার্থীর পিতা সুরেশ চন্দ্র মন্ডল আরো বলেন, বিষয়টি ছেলের পরিবারের লোকজনকে জানানোর পর মোহন চন্দ্র হাওলাদার ও তার সহযোগীরা আরো বেপরোয়া হয়ে লাবনীকে বিদ্যালয়ে যাওয়া-আসাকালে ফের হুমকি-ধামকি দিতে থাকে। একসময় বেশ কিছুদিন বিদ্যালয়ে যাওয়া বন্ধ করে দেয় লাবনী। গত (২৭ নভেম্বর) বুধবার বার্ষিক পরীক্ষার প্রথমদিন সকালে পরীক্ষা দেয়ার জন্য ওই স্কুলছাত্রী ও তার সহপাঠী পাপিয়া মন্ডল, হাসি মন্ডল একসাথে বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে বটতলি নামক স্থানে পৌঁছালে, সজল প্রমানিক (২২), সবুজ হাওলাদার (২৩) ও টুটুল হাওলাদার (১৭) এর সহযোগিতায় পাকুরিয়া গ্রামের বিপ্লব হোসেন নামের এক যুবকের মোটর-বাইকে মোহন চন্দ্র হাওলাদার লাবনী মন্ডলকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ করেন মেয়েটির বাবা।
এরপর স্কুলছাত্রীর দিনভর অনেক খোঁজাখুজি করে না পেয়ে ঘটনার দিন সন্ধ্যায় মহাদেবপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন এবং ঐ সময়ই নওহাটামোড় পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এস আই ফরিদ ঘটনাস্থল পরিদর্শনও করেন।
এ ব্যাপারে (১৮ ফেব্রুয়ারী) মঙ্গলবার প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত অপহরণের শিকার স্কুলছাত্রী উদ্ধার হয়নি জানিয়ে পরিক্ষার্থীর মা মলিনা রানী মন্ডল কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, আমি কিছুই চাই না, শুধু আমার মেয়েকে ফেরত চাই।
মলিনা রানী মন্ডল বলেন, আড়াই মাস পেড়িয়ে গেলেও আমার মেয়েকে উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ এবং মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কয়েকদিন আগে একবার আমাদের বাড়িতে এসে অপহরণকারীদের পক্ষ নিয়ে উল্টো আমাদেরকেই বলেন যে আমরা যদি অপহরণকারী যুবককে জামাই হিসাবে মেনে নিই, তবেই আমাদের মেয়েকে উদ্ধার করা সম্ভব।
এ ব্যাপারে মহাদেবপুর থানার ওসি মো. নজরুল ইসলাম জুয়েল জানান, যতদ্রত সম্ভব অপহরণের শিকার শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করাসহ দোষীদের গ্রেফতার করার জন্য মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।সূত্র : সময় নিউজ
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।