জুমবাংলা ডেস্ক : ময়মনসিংহে অপহরণের তিন মাস ও দেড়মাস পর দুই কিশোরীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। আদালতের নির্দেশে মামলার দায়িত্ব পেয়ে কিশোরীদের উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পিবিআই। রোববার দুই কিশোরীকে উদ্ধারের পর আদালতে জবানবন্দির জন্য নেওয়া হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে,ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার কিশোরীকে গত ২১ জুন তুলে নিয়ে যায় তার ভগ্নিপতি
মো.আবদুল হান্নান। হান্নানের বাড়ি ওই উপজেলার বরুয়া গ্রামে। স্ত্রীকে নিয়ে শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে বাড়িতে নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার ও অস্ত্রের মুখে শ্যালিকাকে নিয়ে পালায় হান্নান।মেয়েকে উদ্ধারে স্থানীয়দের সহায়তা নিয়ে কিশোরীর মা জামাতার বাড়িতে গেলে তাকে জানানো হয়, কিশোরী শ্যালিকাকে বিয়ে করেছে হান্নান।ওই অবস্থায় কিশোরীর মেয়ে মেয়েকে উদ্ধারে আদালতে একটি মামলা করেন।
অপহরণের অভিযোগ এনে দায়ের করা মামলায় বিবাদী করা হয় হান্নানসহ পরিবারের পাঁচজনকে। আদালতের নির্দেশে মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় পিবিআই। কিশোরীকে তুলে নেওয়ার ৩ মাস ১২ দিন পর রোববার পিবিআই কিশোরীকে বরুয়া গ্রামে হান্নানের বাড়ি থেকে উদ্ধার করে।অপরদিকে জেলার তারাকান্দা উপজেলার মাদ্রাসা ছাত্রী কিশোরীকে অপহরণের ১ মাস ১৬ দিন পর রোববার সকালে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
উপজেলাটির বাথুয়াদী গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের ছেলে মো. রনি মিয়া (২৫) প্রতিবেশী অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া মাদ্রাসাছাত্রীকে প্রাইভেট পড়ে বাড়ি ফেরার পথে গত ১৮ আগস্ট তুলে নিয়ে যান। কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে তিনজনকে বিবাদী করে আদালতে একটি মামলা করেন। আদালতের নির্দেশে পিবিআইয়ের হাতে মামলাটি ন্যস্ত হওয়ার ১৪ দিন পর কিশোরীকে বাথুয়াদি থেকে উদ্ধার করা হয়।
পিবিআই ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার গৌতম কুমার বিশ্বাস গণমাধ্যম কে বলেন,শ্যালিকার সঙ্গে ভগ্নিপতির প্রেমের সম্পর্ক থাকায় ঘটনাটি ঘটে।মাদ্রাসা ছাত্রীর ও প্রেমের সম্পর্ক ছিলো যুবক রনির সঙ্গে। মামলার প্রেক্ষিতে দুই কিশোরীকে উদ্ধার করে আদালতে হাজির করা হয়ে ২২ ধারায় জবানব্দি শেষে আদালতের মধ্যেমে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।