করোনাভাইরাস উদ্ভুত পরিস্থিতিতে অফিস খোলা ও জনসাধারণের চলাচলের বিষয়ে নতুন প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
আজ সোমবার (১৫ জুন) এ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এতে আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত শর্তসাপেক্ষে অফিস খোলা রাখার কথা বলা হয়েছে।
এর আগে করোনাভাইরাসের কারণে টানা ৬৬ দিনের সাধারণ ছুটি শেষে ৩১ মে থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত চলাচল সীমিত করে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার। এই সময়ে গণপরিহন ও কলকারখানা সীমিত পরিসরে চালু করা হলেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত জানায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
সোমবারের সর্বশেষ নির্দেশনা অনুসারে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে স্কুল-কলেজসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়ানো হয়েছে আগামী ৬ আগস্ট পর্যন্ত।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল খায়েরের পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
দেশে করোনাভাইরাসের বিস্তার হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৭ মার্চ থেকে সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এর পর দফায় দফায় ছুটি বাড়িয়ে ১৫ জুন অর্থাৎ সোমবার পর্যন্ত করা হয়।
মাঝে ১ জুন দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক, রক্ষণাবেক্ষণ জাতীয় কর্মকাণ্ড এবং শিক্ষার্থী ভর্তির অনুমোদন দেয়া হয়। আর ছুটি আজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও করোনা সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকায় তা বাড়ানো হলো ৬ আগস্ট পর্যন্ত।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, করোনা মহামারি আকারে ধারণ করায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে শিক্ষার্থীদের হুমকির মধ্যে ফেলা হবে না। প্রতিদিন সংসদ টিভিতে ক্লাস সম্প্রচার করা হচ্ছে, বাসায় বসে তারা পাঠগ্রহণ চালিয়ে যাবে। বর্তমানে শিক্ষার্থীদের বাসায় রেখে কীভাবে পরীক্ষা নেয়া সম্ভব সে বিষয়েও চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, চীনের উহান থেকে বিস্তার শুরু করে গত চার মাসে বিশ্বের ২১৫টিরও বেশি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯)। চীনে করোনার প্রভাব কমলেও বিশ্বের অন্য কয়েকটি দেশে মহামারি রূপ নিয়েছে। এরই মধ্যে বিশ্বজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা ৭৯ লাখ ৮৯ হাজার ৫৮৬ জন। মারা গেছেন ৪ লাখ ৩৫ হাজারেরও বেশি মানুষ। তবে ৪১ লাখ ৭ হাজারেরও বেশি রোগী ইতিমধ্যে সুস্থ হয়েছেন।
করোনাভাইরাস মূলত শ্বাসতন্ত্রে সংক্রমণ ঘটায়। এর লক্ষণ শুরু হয় জ্বর দিয়ে, সঙ্গে থাকতে পারে সর্দি, শুকনো কাশি, মাথাব্যথা, গলাব্যথা ও শরীর ব্যথা। সপ্তাহখানেকের মধ্যে দেখা দিতে পারে শ্বাসকষ্ট। উপসর্গগুলো হয় অনেকটা নিউমোনিয়ার মত। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো হলে এ রোগ কিছুদিন পর এমনিতেই সেরে যেতে পারে। তবে ডায়াবেটিস, কিডনি, হৃদযন্ত্র বা ফুসফুসের পুরোনো রোগীদের ক্ষেত্রে ডেকে আনতে পারে মৃত্যু।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।