জুমবাংলা ডেস্ক: অবশেষে পদ্মা নদীতে ভেসে উঠলো নববধূ সুইটির মরদেহ। রাজশাহীর শাহাপুর ঘাট এলাকায় সোমবার সকালে মরদেহটি ভেসে উঠলে জেলেরা উদ্ধার করে। সুইটি খাতুন পূর্ণিমা রাজশাহীর পবা উপজেলার ডাঙেরহাট গ্রামের শাহীন আলীর মেয়ে।
রাজশাহী সদর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আবদুর রব গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এ নৌকাডুবিতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো নয়জনে। আর ঘটনার পর বিভিন্নভাবে উদ্ধার হয়ে এসেছেন আরও ৩২ জন।
গত শুক্রবার সন্ধ্যায় বৌভাতের অনুষ্ঠান শেষে ফেরার পথে শ্রীরামপুর এলাকায় বরযাত্রীবাহী দুটি নৌকা ডুবে যায়। দুটি নৌকায় ৪১ জন যাত্রী ছিলেন। এদের মধ্যে বালুবাহী একটি নৌকায় সাঁতরে অন্তত ৩৩ জন উঠতে পারলেও ৮ জন নিখোঁজ হয়। সাঁতরে তীরে ওঠা ৩৩ জনের মধ্যে অসুস্থ অবস্থায় ৭ জনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে মরিয়ম খাতুন (৬) নামে এক শিশুকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। পরে নিখোঁজ ৮ জনের মধ্যে গত শনি ও রোববার ৭ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। শুধু নববধূ সুইটির কোনো সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না। সোমবার সকালে নৌকাডুবির ঘটনাস্থলের অন্তত ১০ কিলোমিটার দূরে শাহাপুর ঘাট এলাকায় পদ্মা নদীতে সুইটির মরদেহটি ভেসে উঠলে জেলেরা উদ্ধার করে।
উদ্ধার ও অনুসন্ধান দলের সমন্বয়কারী অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু আসলাম জানান, সকাল সাড়ে ৬টার দিকে সুইটির লাশটি উদ্ধার করেন জেলেরা। এর মধ্য দিয়ে নিখোঁজ সবার লাশই পাওয়া গেল। নৌকাডুবির ঘটনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৯ জনে।
নিহত অপর ৮ জন হলেন- কনে সুইটির বড় বোন শাহীনুর বেগমের স্বামী রতন আলী (৩০), তাদের মেয়ে মরিয়ম খাতুন (৬), চাচা শামীম হোসেন (৩৫), চাচী শামীমের স্ত্রী মনি খাতুন (৩০), চাচাতো বোন মদিনা ওরফে রশ্মি (৮), খালাতো ভাই এখলাস আলী (২২), ফুপাতো বোন রুবাইয়া (১২) ও খালা আঁখি (২২)। সূত্র: সমকাল
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।