ইব্রাহীম খলিল, জবি প্রতিনিধি : চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
এসময় দেশের সার্বভৌমত্বে আঘাত ও দেশে জঙ্গি কার্যক্রম করার দায়ে হিন্দুত্ববাদী উগ্র সংগঠন ইসকনকে অবিলম্বে নিষিদ্ধের দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) রাতে ক্যম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এই দাবি জানান তারা।
এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘নিষিদ্ধ নিষিদ্ধ ইসকন নিষিদ্ধ’, ‘আমার সোনার বাংলায় ইসকনের ঠাই নাই’, ‘ইসকনের কালো হাত ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও’, ‘আমার ভাই মরলো কেনো, প্রশাসন জবাব চাই’ স্লোগান দিতে থাকে।
সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মাসুম বলেন, বাংলাদেশকে একটি অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করার লক্ষ্যে কিছুদিন যাবৎ চক্রান্ত করে যাচ্ছে উগ্রবাদী হিন্দুত্ববাদী সংগঠন ইসকন। তারই প্রতিচ্ছবি চট্টগ্রামে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ ভাইয়ের নৃশংস হত্যাকান্ড। এই হত্যাকান্ডের সাথে যারা জড়িত তাদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে আইন অনুযায়ী শান্তি নিশ্চিত করতে হবে।
নাইমুর রহমান নামে আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ভারত আমাদের সার্বভৌমত্বকে ভেঙে দেওয়ার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। আওয়ামীলীগকে পুনর্বাসন করতে চাচ্ছে। ইসকান তাদের উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। আমরা চাই ইসকনকে নিষিদ্ধ করা হোক। সাইফুল ইসলাম আলিফ ভাইর হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতের গ্রেপ্তার করা হোক।
এ সময় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস্ সোসাইটির সভাপতি জুনায়েদ মাসুদ বলেন, দীর্ঘদিন যাবৎ ভারতের মদদে এদেশের হিন্দুত্ববাদী সংগঠন ইসকন অখন্ড ভারত করার দিবাস্বপ্ন দেখে যাচ্ছে। আমাদের স্বাধীন সার্বভৌম দেশে এই ইসকন বিভিন্ন সময় অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করতে চেয়েছে আজও করছে। গত পাঁচ আগস্টে পরাজিত শক্তি ফ্যাসিস্ট হাসিনা ভারতে পালিয়ে গিয়ে সেখানে বসে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতেছে। তার সেই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠন ইসকন আদালত চত্বরেই এক আইনজীবীকে কুপিয়ে হত্যা করে। আমরা দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে চাই। দেশে কোন অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হোক তা আমরা চাই না।
অবিলম্বে আইনজীবী সাইফুল ইসলামের হত্যাকারীদের আইনের আওতায় নিয়ে বিচার করার জোর দাবি জানান তিনি।
চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যা, প্রতিবাদে ফেটে পড়ল বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।