আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতীয় এক তরুণীকে অবৈধভাবে এনে গোপনে বিয়ে করার অভিযোগ উঠেছে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার সাদ্দাম হোসেন নামে এক তরুণের বিরুদ্ধে। গত শনিবার রাতে ভারতীয় ওই তরুণীকে তিনি বিয়ে করেন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছে। সাদ্দাম হোসেন উপজেলার বাউরা ইউনিয়নের নবীনগর গ্রামের সাইদুল ইসলামের ছেলে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, অবৈধ উপায়ে ভারতীয় ওই তরুণীকে এনে ওই যুবক বিয়ে করেন। স্থানীয় কাজী তাদের বিয়ে পড়ান। বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনকে জানালে ওই তরুণীকে উদ্ধারে অভিযান চালায় পুলিশ। কিন্তু এলাকার ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্যের সহযোগিতায় ওই তরুণীকে অন্যত্র সরিয়ে রাখা হয় বলেও অভিযোগ করেন তারা।
জানা যায়, গত তিনদিন আগে সাদ্দাম হোসেন ও তার বড় ভাই ফল ব্যবসায়ী সাজাহান মিয়া ওই ভারতীয় তরুণীকে দহগ্রাম ইউনিয়নের ভারতীয় সীমানা দিয়ে অবৈধপথে বাংলাদেশে নিয়ে আসেন। সেদিন থেকে মামাতো বোন পরিচয়ে তাকে তাদের বাড়িতে রাখা হয়। এরপর শনিবার রাতে ভারতীয় ওই তরুণীর সঙ্গে গোপনে বিয়ের প্রস্তুতি চলছিল।
এ বিষয়ে প্রশাসন খবর পেলে ভারতীয় তরুণীর বাংলাদেশে আসার বিষয়টির সত্যতা জানতে স্থানীয় ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান বাবলুকে দায়িত্ব দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
কিন্তু ওই ইউপি সদস্যের সহযোগিতায় ভারতীয় তরুণী ও যুবক সাদ্দাম অন্যত্র পালিয়ে যান। পরে বাউরা ইউনিয়নের কাঁঠালতলা এলাকার আবু তালেব ও শাহজাহানের বাড়িতে নিয়ে গোপনে বিয়ে পড়ান কাজী একে এম ফজলুল হক। বিয়ের খবর পেয়ে পুলিশ সেখানেও অভিযান চালায়। কিন্তু টের পেয়ে সেখান থেকেও সরে পড়েন তারা।
বিয়ে পড়ানোর বিষয়টি অস্বীকার করে বাউরা ইউনিয়নের কাজী একেএম ফজলুল হক বলেন, ‘আমি ভারতীয় ওই তরুণীর সঙ্গে কারও বিয়ে রেজিস্ট্রি করিনি। যেহেতু তিনি বাংলাদেশের নাগরিক নন, তাই বিয়ে পড়ানোর সুযোগ নেই।’
ভারতীয় তরুণীকে পালাতে সাহায্য করার বিষয়টিও অস্বীকার করেছেন ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান বাবলু। তিনি বলেন, ইউএনও স্যারের ফোন পেয়ে ওই বাড়িতে খোঁজখবর নিয়ে ঘটনার সত্যতা জানতে পারি। কিন্তু সেখানে গিয়ে ভারতীয় ওই তরুণীকে পাইনি। পরে বিষয়টি ইউএনও স্যারকে অবগত করি।
পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন কুমার মহন্ত বলেন, ‘বাউরা ইউনিয়নের নবীনগর গ্রামের এক যুবকের সঙ্গে ভারতীয় তরুণীর বিয়ে হচ্ছে-এমন খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ পাঠাই। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কাউকে পায়নি। পরে আরেক সূত্রে জানা যায়, কাঁঠালতলা এলাকায় আবু তালেবের বাড়িতে ওই তরুণীকে রাখা হয়েছে। পরে সেখানেও অভিযান চালিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে পুলিশ উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রেখেছে।’
পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মশিউর রহমান বলেন, ‘এডিএম স্যারের ফোন পেয়ে জানতে পারি ভারতীয় তরুণীর সঙ্গে স্থানীয় এক যুবকের বিয়ে হচ্ছে। পরে সেখানে স্থানীয় মেম্বারকে পাঠিয়ে ঘটনার সত্যতা জানতে পারি। এরপর পুলিশের উপস্থিতি জানতে পেরে তারা পালিয়ে যায়।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।