জুমবাংলা ডেস্ক : ছাগলকাণ্ডে আলোচিত মতিউর রহমানকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালের প্রেসিডেন্টের পদ থেকে সরিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীনে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগে যুক্ত করার ২২ দিন পার হলেও সশরীরে অফিসে যোগ দেননি তিনি। এটাকে সরকারি চাকরি বিধিমালার ব্যত্যয় বলেই মনে করছেন সাবেক কর্মকর্তারা। আর সাধারণ মানুষ বলছেন, দুর্নীতি রোধে এ ধরনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরক অবিলম্বে চাকরিচ্যুত করে কঠোর বার্তা দেয়া দরকার!
ছাগলকাণ্ডের পর থেকে এনবিআরের সাবেক কর্মকর্তা মতিউর রহমানের নানা অপকর্মের ফিরিস্তি সামনে আসছে। দুদফায় মতিউর পরিবারের প্রায় সাড়ে তিন হাজার শতাংশ জমি, ১১৬টি ব্যাংক হিসাবে প্রায় ১৪ কোটি টাকা, রাজধানীতে বহুতল ভবন, ৪টি ফ্ল্যাট ও ২৩টি বিও হিসাব জব্দ ও ফ্রিজ করেছেন আদালত।
দ্বিতীয় দফায় জব্দ ও ফ্রিজ করা সম্পদের মধ্যে মতিউরের নামেই রয়েছে অন্তত ৩০০ শতাংশ জমি, অর্ধ কোটি টাকা ও ৫টি বিও একাউন্ট। অথচ এনবিআরের কর্মকর্তা হিসেবে প্লেসমেন্ট বাণিজ্য এবং কারসাজির আগাম তথ্য জেনে দুর্বল কোম্পানির শেয়ার কিনে বেশি দামে বিক্রি করা ছিল তার অবৈধ উপার্জনের অন্যতম কৌশল, যা জঘন্যতম অপরাধের একটি।
এসবের পরে এখনও তাকে চাকরিচ্যুত না করা নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে জনমনে। সাধারণ মানুষ বলছেন, এ ধরনের লোককে চাকরি থেকে অপসারণ করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা উচিত। এতে করে দুর্নীতি করার সাহস পাবে না কেউ। দুর্নীতিবাজদের কোনোমতেই চাকরিতে রাখা উচিত নয়। তাদেরকে সমাজ থেকে বিতাড়িত করা উচিত।
সাবেক আমলারা বলছেন, এনবিআর চাইলে তাকে সাসপেন্ড করতে পারতো; করতে পারতো বিভাগীয় তদন্ত; দিতে পারতো কারণ দর্শানোর নোটিশ। তবে তাকে পাবেই বা কোথায়? বদলির মাধ্যমে নতুন কর্মস্থলে সংযুক্তির পর থেকে তো একবারের জন্যেও কর্মস্থলে যাননি তিনি।
সাবেক সচিব আবু আলম শহীদ খান বলেন, বদলি করার পর একজন সরকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারির ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নতুন কর্মস্থলে যোগদান করার নিয়ম। ফ্যাক্সের মাধ্যমেও যোগদান করতে পারেন। কিন্তু তার পরদিন তাকে অফিসে যেতে হবে। তবে এর কোনোটাই তিনি করেননি। এখন এ বিষয়ে কী করা হবে, সেটা অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ বলতে পারবে।
দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত এ ব্যক্তিকে বরখাস্ত করা যৌক্তিক ছিল বলছেন দুদকের সাবেক মহাপরিচালক মো. মঈনুল ইসলাম।
তিনি বলেন, সাধারণত যার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে না, তারপরও কর্তৃপক্ষ পছন্দ করছে না — এমন ব্যক্তিকে আগে ওএসডি করা হতো। কিন্তু এখানে দেখা যাচ্ছে, দুর্নীতির সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আছে; তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় কার্যধারা শুরু করা উচিত ছিল।
এ ধরনের দুর্নীতিবাজ ও তাদের অংশীদাররা যেন পালাতে না পারে তার জন্য দুদককে আরও সক্রিয় হতে হবে বলে মত সংস্থাটির সাবেক এ মহাপরিচালকের।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।