জুমবাংলা ডেস্ক: কূটনৈতিক তৎপরতার পাশাপাশি সীমান্তবর্তী এলাকায় অর্থনৈতিক উন্নয়ন হলে সীমান্ত হত্যা শূন্যের কোঠায় আনা সম্ভব বলে মনে করেন বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলাম। বিজিবি দিবসে রোববার সকালে বিজিবি সদরদপ্তরে তিনি এ কথা বলেন।
বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, এখন কূটনৈতিকভাবে এবং আমরা আমাদের দিক থেকে চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি যেন সীমান্ত হত্যা শূন্যের কোঠায় নিয়ে আসতে পারি। সেজন্য সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের সচেতন করার চেষ্টা করছি যেন অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম না করেন। সীমান্তবর্তী জনগণকে শিক্ষা দীক্ষায় এবং অর্থনৈতিকভাবে যদি স্বাবলম্বী করতে পারি তাহলেই সীমান্ত হত্যা কমে যাবে।
সাফিনুল ইসলাম বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে কিছু অরক্ষিত সীমানা রয়েছে সেগুলোকে নিয়ন্ত্রণে আনাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ। এজন্য সীমান্তে বর্ডার অবজারভেশন পোস্ট (বিওপি) বাড়ানোর পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। সেখানে নতুন বিওপি স্থাপন করে এই দূরত্ব কমাতে হবে।
বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষা বাহিনীর সামনে কী চ্যালেঞ্জ রয়েছে- এমন প্রশ্নে মহাপরিচালক বলেন, পৃথিবী টেকনোলজির দিক থেকে এগিয়ে যাচ্ছে। সে সঙ্গে বাংলাদেশও প্রযুক্তিগত দিক থেকে এগিয়ে যাচ্ছে, যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নতি হয়েছে। সেটার সঙ্গে তাল মিলিয়ে বিজিবিকে সময়োপযোগী করাটা জরুরি
করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও বিজিবির সব ধরনের অভিযানসহ সেবা মূলক কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি। তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাওয়ার জন্য প্রয়োজন নতুন নতুন রিক্রুটমেন্ট এবং একই সঙ্গে বিজিবি প্রতিটি সদস্যের প্রশিক্ষণ ও অনুশীলন।
এর আগে পিলখানায় বিজিবি সদর দপ্তরে রোববার সকালে রেজিমেন্টাল পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে বিজিবি দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়। মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলাম এ পতাকা উত্তোলন করেন। এরপর পিলখানায় ‘সীমান্ত গৌরব’-এ শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।