আন্তর্জাতিক ডেস্ক : অর্ধটন কোকেইন নিয়ে মেক্সিকোর আকাশসীমায় প্রবেশ করেছিল ছোট একটি বিমান। কিন্তু দেশটির সামরিক বাহিনী সেটিকে শনাক্ত করতে পারলে ধাওয়া দিতে শুরু করে। গতি বাড়িয়ে দেয় বিমানটি। এক সময় জ্বালানি ফুরিয়ে গেলে বিধ্বস্ত হয়। নিহত হন বিমানের দুই আরোহী। খবর মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এর।
সিএনএন এর এক অনলাইন প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, মেক্সিকোর প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বুধবার এক বিবৃতিতে কোকেইনভর্তি বিমানটি বিধ্বস্ত হয়ে দুই আরোহীর মৃত্যু এবং পুরো ঘটনাটি নিয়ে এমন তথ্যই জানিয়েছে।
দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওই বিবৃতিতে বলা হচ্ছে, নিজেদের আকাশসীমায় বিমানটির অবস্থান শনাক্ত করে মেক্সিকোর সামরিক বাহিনীর একটি হেলিকপ্টার। এর পর সেটিকে ধাওয়া দিতে শুরু করে। ধাওয়া খেয়ে কোয়েরেটারো শহরের বোতিজায় বিধ্বস্ত হওয়ার আগে বিমানটি দ্রুত গতিতে শত মাইল পাড়ি দিয়েছিল।
কোকেইন হলো উচ্চমূল্যের একটি মাদকদ্রব্য। মূলত দুই আমেরিকায় এর ব্যবসা বেশ জমজমাট। বিমানটিতে ৪০০ কেজি বা তারও বেশি কোকেইন ছিল বলে জানিয়েছে মেক্সিকোর প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
সিএনএন জানাচ্ছে, আকাশপথে মাদক চোরাচালানের সময় সাম্প্রতিক মাসগুলোতে মধ্য আমেরিকা এবং মেক্সিকোর দক্ষিণাঞ্চলে বেশ কিছু জেট বিমান বিধ্বস্ত নয়তো তাড়া খেয়ে পালানোর ঘটনা ঘটেছে।
মেক্সিকো থেকে চুরি হওয়া একটি জেট বিমান গুয়াতেমালা জঙ্গলের একটি নির্জন স্থানে বিধ্বস্ত হওয়ার দুই সপ্তাহ পর ফের এই মাদকবাহী বিমান বিধ্বস্তের ঘটনা ঘটলো। ওই বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় দুই আরোহী নিহত হন। বিমানটিতে ছিল প্রচুর পরিমাণে মাদক ও অস্ত্র। রহস্যজনকভাবে ভেনেজুয়েলাতেও গিয়েছিল বিমানটি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।