‘পঁচা শামুকে পা কাটতে যাচ্ছিল’ আরেকটু হলেই। ৩২২ রান করেও জিম্বাবুয়ের মতো দলের কাছে হার, শুনতে কেমন লাগতো? শেষ পর্যন্ত অবশ্য কঠিন এক পরিস্থিতি থেকে উৎড়ে গেছে বাংলাদেশ দল। সিলেটে শ্বাসরূদ্ধকর এক লড়াইয়ে ৪ রানে জিতে সিরিজ নিজেদেরও করে নিয়েছে টাইগাররা।
যে ম্যাচটি সহজেই জিততে পারতো বাংলাদেশ, সেই ম্যাচটিকে জিম্বাবুয়ের দিকে হেলিয়ে দেন ডোনাল্ড তিরিপানো। সঙ্গী হিসেবে ছিলেন তিনোতেন্দা মুতুমবজি। ২২৫ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকেই পড়েছিল সফরকারিরা। সেখান থেকে দশের ওপর রান তুলতে তুলতে একদম জয়ের কিনারায় চলে গিয়েছিল দলটি। তিরিপানো-মুতুমবজির ৮০ রানের জুটিটি শেষ পর্যন্ত ভাঙে।
তবু শেষ বল পর্যন্ত আশা ছিল জিম্বাবুয়ের। শেষ ওভারে দরকার ২০। তিরিপানোর দুই ছক্কার পর সেটা দাঁড়ায় শেষ ২ বলে ৬ রানে। একটি ছক্কাই ভেঙে দিতে পারতো স্বাগতিকদের মন। তবে আল আমিন হোসেনের শেষ দুই বলে এক রানের বেশি নিতে পারেনি জিম্বাবুয়ে, হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছে টাইগাররা।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এমন হারের দ্বারপ্রান্তে গিয়ে পাওয়া জয়, বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা কি স্বস্তি পাচ্ছেন? টাইগার দলপতি অবশ্য এমন লড়াইয়েও ইতিবাচকতা দেখছেন। তার মতে, টাইট ম্যাচে জয় পেলে দলের আত্মবিশ্বাস বাড়ে।
ম্যাচের পর মাশরাফি বলছিলেন, ‘জয় তো জয়ই। তবে এটা খুব ক্লোজ জয় ছিল। আমরা এই জয়ে নিজেদের স্নায়ু ভালোভাবেই ধরে রাখতে পেরেছি। জয় এমন একটি বিষয়, যেটি নিয়ে পরের ম্যাচে যাওয়া যায়। যখন আপনি টাইট ম্যাচ জিতবেন, ভবিষ্যতে অনেক বেশি আত্মবিশ্বাস পাবেন।’
৩২৩ রানের বড় লক্ষ্য দিয়েও কেন এই দুশ্চিন্তা? বোলাররাই কি বিপদে ফেলে দিয়েছিলেন? মাশরাফি অবশ্য বোলারদের দোষী করতে রাজি নন। তিনি বলেন, ‘সবাই হয়তো বোলিং নিয়ে প্রশ্ন তুলবে। কিন্তু এটা খুব ভালো উইকেট ছিল। শিশিরও ছিল মাঠে। বোলারদের জন্য তাই কাজটা কঠিন হয়ে যায়।’
ক্যারিয়ারসেরা ১৫৮ রানের ইনিংস খেলে দলকে বড় সংগ্রহ গড়ে দিয়েছিলেন তামিম ইকবাল। দেশসেরা এই ওপেনারকে প্রশংসায় ভাসিয়ে মাশরাফি বলেন, ‘আমার মনে হয়, সে সবসময়ই আমাদের স্পেশাল খেলোয়াড়। ভালো লাগছে যে সে রান করে খুশি হয়েছে। তার সঙ্গে অন্য ব্যাটসম্যানরাও ভালো করেছে। এটা ভালো ব্যাপার।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।