জুমবাংলা ডেস্ক: প্রচণ্ড খরার মাঝেও লক্ষ্মীপুরে আউশের ভাল ফলন পেয়েছে কৃষক। মৌসুমের শুরুতেই তাপপ্রবাহের ফলে আউশের আবাদ নিয়ে হতাশ হয়ে পড়ে কৃষক। বর্তমানে আউশ ধান কাটা এবং মাড়াই-ছাড়াই নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষক। প্রথমবারের মতো ব্রি-৯৮ আবাদ করে অনেক বেশি ফলন পেয়ে লাভবান কৃষক। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক ডাঃ জাকির হোসেন জানান, চলতি বছর জেলায় ৩৩ হাজার পাঁচশ’ হেক্টর জমিতে আউশ আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়।
প্রচণ্ড খরা ও নদী ভাঙ্গনের ফলে আবাদ হয়েছে ২৭ হাজার ৮১৬ হেক্টর জমিতে। চাল হিসেবে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয় ৭৮ হাজার ৩২০ টন। এর মধ্যে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট উদ্ভাবিত ব্রিধান ৪৮, ৮৪, ৮৯, ৯৮, নতুন ব্রিধান হাইব্রিড-৭ এবং কৃষক চীনা ইরি ধানের আবাদ করে ভাল ফলন পেয়েছে।
সদর উপজেলার কুশাখালী এলাকায় সোহাগ আহম্মেদের লাগানো ব্রি-৯৮ জাতটির ফলন পাওয়া গেছে, ধান হিসেবে সাত দশমিক তিন মে.টন এবং চাল হিসেবে হেক্টরে চার দশমিক নয় মে.টন। আউশের মধ্যে এ যাবত কালের এটিই সর্বোচ্চ ফলন। আগের জাতগুলোর মধ্যে ব্রি-৪৮ থেকে পাওয়া গেছে তিন দশমিক আট টন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।