জুমবাংলা ডেস্ক : আজ ৮০ বছরে পা দিলেন রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া।
দিবসটি উপলক্ষে বৃহস্পতিবারের পরিবর্তে শুক্রবার নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারা দেশে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেছে বিএনপি।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আন্দোলনে আত্মোৎসর্গকারী শিক্ষার্থী ও গণমানুষের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মিলাদ মাহফিল করবে বিএনপি।
এসব কর্মসূচিতে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
গত আট বছরের মতো এবারও জন্মদিনের প্রথম প্রহরে জন্মদিনের কেক কাটার কোনো কর্মসূচি নেই বিএনপির। ২০১৬ সাল থেকে কেক না কেটে দোয়া মাহফিল করে তার জন্মদিন পালন করে আসছে দলটি।
গত ৮ জুলাই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার ছয় দিন পর ফের খালেদা জিয়াকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
হাসপাতালের কেবিনে তাকে চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে বলে জানান তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. জাহিদ হোসেন।
তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের চিকিৎসার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শ অনুযায়ী তাকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস এবং কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন।
২০২১ সালের নভেম্বরে লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে তার চিকিৎসকরা তাকে বিদেশে পাঠানোর পরামর্শ দিয়ে আসছেন।
গত বছরের ২৬ অক্টোবর খালেদা জিয়ার পেট ও বুকে পানি জমে যাওয়া ও লিভারে রক্তক্ষরণ বন্ধে ট্রান্সজুগুলার ইন্ট্রাহেপ্যাটিক পোর্টোসিস্টেমিক শান্ট (টিপস প্রসিডিউর) নামে পরিচিত হেপাটিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন যুক্তরাষ্ট্রের তিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক।
উল্লেখ্য, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫। ওই বছরের ৩০ অক্টোবর হাইকোর্ট তার সাজার মেয়াদ বাড়িয়ে ১০ বছর করেন। পরে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায়ও তার সাজা হয়।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ এক নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করে ৭৭৬ দিন পর তাকে সাময়িকভাবে মুক্তি দেয় সরকার। তবে তার মুক্তির শর্ত ছিল, তিনি গুলশানের বাসায় থাকবেন এবং দেশত্যাগ করতে পারবেন না।
গত ৫ আগস্ট ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ৬ আগস্ট রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের নির্দেশে খালেদা জিয়াকে পুরোপুরি মুক্তি দেওয়া হয়। ওইদিন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি এ আদেশ দেন।
সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘যেকোনো আদালত, ট্রাইব্যুনাল বা অন্য কোনো কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত যেকোনো দণ্ডের মার্জনা, বিলম্ব ও বিরাম মঞ্জুর করার এবং যেকোনো দণ্ড মওকুফ, স্থগিত বা হ্রাস করার ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির থাকবে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।