জুমবাংলা ডেস্ক : দেশে প্রায় সাড়ে ১২ লাখ ড্রাইভিং লাইসেন্স সরবরাহ বাকি রয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার।
করোনাভাইরাসের সময় স্মার্ট ড্রাইভিং কার্ডের জন্য তিনবার দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে এবং মামলার কারণে লাইসেন্স বিতরণে দীর্ঘসূত্রিতা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
সোমবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকের কার্য বিবরণী থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
দীর্ঘসূত্রিতার কবলে পড়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) স্মার্ট ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাপানো ও বিতরণ কার্যক্রম। ফলে লাইসেন্সের জন্য আবেদনকারীদের নানান দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
এ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে সংসদীয় কমিটি। কমিটির বৈঠকে স্মার্ট ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাপানো ও বিতরণ কার্যক্রম দ্রুত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের সুপারিশ করা হয়েছে।
সোমবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে ওই সুপারিশ করা হয়। কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ রওশন আরা মান্নানের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, এনামুল হক, মো. আবু জাহির, রেজওয়ান আহম্মদ তৌফিক, মো. ছলিম উদ্দীন তরফদার ও সেখ সালাহউদ্দিন এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
কমিটি সূত্র জানায়, বৈঠকে স্মার্ট ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদানের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। আলোচনাকালে কমিটির সদস্যরা জানান, গত মার্চের মধ্যে ১২ লাখ ৪৫ হাজার স্মার্ট ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়ার কথা থাকলেও তা দেওয়া সম্ভব হয়নি। এরআগে ২০২১ সালের ২৯ আগস্ট স্মার্ট ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাপানোর জন্য চুক্তি করে বিআরটিএ।
চুক্তি অনুযায়ী, ওই বছরের অক্টোবর থেকেই কার্ড ইস্যু করার কথা ছিলো কিন্তু তা সম্ভব হয়নি। এদিকে লাইসেন্সের জন্য আবেদন করে মাসের পর মাস অপেক্ষা করতে হচ্ছে। এতে আবেদনকারীরা নানান হয়রানির শিকার হচ্ছেন। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশনা দেওয়া হয়।
এদিকে বৈঠকে রাজধানীর বিআরটি প্রকল্পের সার্বিক কার্যক্রমের সর্বশেষ অগ্রগতি সম্পর্কে বিস্তারিত প্রতিবেদন উপস্থাপন ও আলোচনা করা হয়। আলোচনা শেষে মানুষের জীবন নিরাপত্তা নিশ্চিত করে সব ধরনের অবকাঠামো নির্মাণের নির্দেশনা দেওয়া হয়।
এছাড়া মহাসড়কে জনগণের জীবনের নিরাপত্তা বিধান ও নিরাপদ রাখা লক্ষ্যে নসিমন, করিমন এবং সিএনজি চালিত অটোরিক্সা ও ইঞ্জিনচালিত রিক্সা চলাচল বন্ধ করার ব্যপারে ৮টি বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার, ডিআইজি ও অতিরিক্ত আইজিপির (হাইওয়ে) সমন্বয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের সুপারিশ করা হয়।
বৈঠকে সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের নব-নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য বুনিয়াদি প্রশিক্ষণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়। এছাড়া বৈঠকে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির প্রথম হতে ১৪তম বৈঠক পর্যন্ত একটি পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট জাতীয় সংসদে উপস্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।