সাইফুল ইসলাম, মানিকগঞ্জ: আদালতে মোকদ্দমা চলমান অবস্থায় মালিকানা জমি উচ্ছেদ ও আধাপাকা বসত বাড়ী ভাংচুর করেছে ধল্লা ইউনিয়ন তহশীলদার মোঃ শহিদুল ইসলাম। ভুক্তভোগী পানোয়ারা বেগম প্রশাসনের নিকট প্রতিকার চেয়ে ও সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে তহশীলদারের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছে।
মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে মানিকগঞ্জ জেলা প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন ভূক্তভোগী পানোয়ারা বেগমের ছেলে পলাশ খান, জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি আমিনুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মোঃ মামুন মিয়া ও যুগ্ম সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানসহ বিভিন্ন সাংবাদিকবৃন্দ।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী পানোয়ারা বেগম লিখিত বক্তব্যে বলেন, মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার ফোর্ডনগর ১ম খন্ড মৌজার আর এস ১০২৯ নং খতিয়ানের ৩৬৬২ নং দাগে ১৮ শতাংশের উত্তরপুর্বাংশে রাস্তা সংলগ্ন ৬ শতাংশ ভূমি ২০১৫ সালের ২৯ এপ্রিল আমার স্বামী মোঃ গিয়াস উদ্দিন ৩৫১১ নং হেবা দলিল মুলে আমার নামে রেজিষ্ট্রি করে দেয়। আমাকে দখল অর্পন করিলে আমি আধাপাকা বসতঘর নির্মান করে বসবাস করাবস্থায় ২০১৫ সালের ১৬ আগষ্ঠ ৪৭৫/২০১৫-১৬ নং উক্ত ভূমি নামজারি জমাভাগ করে সরকারী সেরেস্তায় ১৪২৬ সন বাংলায় খাজনাদি পরিশোধ করেছি। উক্ত ভূমি নিয়ে বিজ্ঞ সিংগাইর সহকারী জজ আদালতে দেওয়ানী মোকদ্দমা (২/২২) ও মিস আপিল-৮/২২ চলমান থাকাবস্থায় গত ৫ এপ্রিল দুপুরে ধল্লা ইউনিয়ন তহশীলদার স্থানীয় ভূমিদস্যুদের সহযোগিতায় আমার স্বত্ব দখলীয় বসতবাড়ী ভাংচুর করে আনুমানিক ২০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি সাধন করেছে। এসিল্যান্ড অফিস থেকে বাড়িঘর উচ্ছেদের নোটিশ দেয়ার পরই আমার স্বামী স্ট্রোক করে। বর্তমানে সে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
ভুক্তভোগী পানোয়ারা বেগম আরো বলেন, তহশীলদার শহীদুল ও স্থানীয় মেম্বার বিগত দুই মাস আগে আমার জমি কেনার জন্য চাপ প্রয়োগ করে। আমি আমার জমি বিক্রয় না করায় তহশীলদার শহিদুল অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে আমাকে হয়রানি করছে। তার উদ্দেশ্য হাসিল করতে আমার মালিকানাধীন জমি ও বসত বাড়িঘর অবৈধভাবে ভাংচুর করেছে।
আমি এর প্রতিবাদ করায় শহীদুল আমাকে হুমকি দিয়ে বলেন, তুই যদি কাউকে জানাস বা কোন সাংবাদিকের কাছে যাস তাহলে তোর আরোও বিপদ হবে। এমতাবস্থায় আমি এবং আমার পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমি এর সুষ্ঠু প্রতিকারের জন্য বর্তমান সরকার ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এ বিষয়ে তহশীলদার শহীদুল ইসলাম জানান, এ ব্যাপাওে আমি কিছু বলতে পারবো না। এসিল্যান্ড স্যারের নির্দেশে আমি উচ্ছেদ করেছি। আরো কিছু জানার থাকলে এসিল্যান্ড স্যারের সাথে কথা বলেন।
এ প্রসঙ্গে সিংগাইর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)শাম্মা লাবিবা অর্নব বলেন, পাানোয়ারা বেগম দীর্ঘদিন ধরে সরকারি সম্পত্তি ভোগদখল করে আসছিল। মুিজব শতবর্ষ উপলক্ষে গৃহহীনদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর প্রদান প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে তার বসতবাড়ি উচ্ছেদ করা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।