প্রবাস ডেস্ক: ইথিওপিয়ার রাজধানী আদ্দিস আবাবায় যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সাথে গতকাল (১৫ আগস্ট) সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালন করেছে বাংলাদেশ দূতাবাস।
দিবসটি উপলক্ষে এদিন সকালে দূতাবাসের পক্ষ থেকে আদ্দিস আবাবায় একটি ইসলামি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের মাঝে কোরআন, রেহেল এবং মাইক্রোফোন ও স্পীকার বিতরণ করা হয়। প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থী ও দূতাবাসের কর্মকর্তাবৃন্দ বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের রূহের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মুনাজাত করেন।
পরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও ১৫ আগস্টের শহিদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করে দূতাবাসে শোক দিবসের আলোচনা অনুষ্ঠান শুরু হয়।
অনুষ্ঠানে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু, তাঁর পরিবারবর্গ এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তি সংগ্রামের সকল শহিদদের রূহের মাগফেরাত কামনা করা হয়।
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত পৃথক পৃথক বাণী পাঠ করে শোনানো হয় ও বঙ্গবন্ধুর জীবনী ও কর্মের উপরে দু‘টি প্রামাণ্যচিত্র (ভিডিও) প্রদর্শিত হয়।
অনুষ্ঠানে ইথিওপিয়া ও অন্যদেশের বেশ কয়েকজন প্রবাসী বাংলাদেশি আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।
দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত মো. নজরুল ইসলাম বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে বলেন, ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর মৃত্যু হলেও তাঁর মূল্যবোধ, নীতি ও আদর্শ আরও শক্তিশালী হয়েছে। তার আদর্শ প্রোথিত রয়েছে বাংলার জনগণের হৃদয়ে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশের জন্ম হতো না যদিও আজকে বঙ্গবন্ধু শুধু বাংলাদেশের নয়, সমগ্র বিশ্বের।’
রাষ্ট্রদূত প্রবাসীদের বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে প্রধানমন্ত্রীর সূচিত উন্নয়নের ধারায় সকলকে সম্পৃক্ত হতে আহবান জানিয়ে বলেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বাস্তবায়নের মাধ্যমেই বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি সর্বোচ্চ সম্মান প্রদশর্ন করা হবে।
তিতনি কোভিড-১৯ পরিস্থিতি মোকাবিলা করে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করার জন্য প্রবাসী বাংলাদেশিদেরকে আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।