আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন (আইএসএস) ধ্বংস করার লক্ষ্যে ৮৪৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের চুক্তি করছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। বাংলাদেশি টাকায় যার পরিমাণ প্রায় ৯ হাজার ৮৭২ কোটি ১০ লাখ ৩২ হাজার ৪০০ টাকা। আর এ চুক্তি করা হয়েছে ইলন মাস্কের নভোযান, রকেট ও স্যাটেলাইট নির্মাতা প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্স-এর সঙ্গে।
২০৩০ সালের শেষদিকে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের কার্যক্রম শেষ হয়ে যাবে। সে সময় স্পেসএক্সনির্মিত বিশেষ ধরনের ডি-অরবিট ভেহিকল ফুটবল আকারের আইএসএসকে পৃথিবীর কক্ষপথ থেকে সরিয়ে নেবে। ‘ডি-অরবিট ভেহিকল’—নাম শুনেই বোঝা যাচ্ছে, এ যান কক্ষপথচ্যুত করবে আইএসএসকে। ঘণ্টায় প্রায় ২৭ হাজার ৫০০ কিলোমিটার বেগে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের মধ্য দিয়ে টেনে এনে ফেলবে সমুদ্রের নির্ধারিত স্থানে।
নাসার অ্যাসোশিয়েট অ্যাডমিনিস্ট্রেটর ফর স্পেস অপারেশন মিশন ডিরেকটরেট কেন বাওয়ারসক্স লাইভ সায়েন্সকে বলেছেন, নাসার ভবিষ্যৎ বাণিজ্যিক অভিযান এবং পৃথিবীর কাছাকাছি মহাকাশ-অঞ্চলগুলো ব্যবহারের যে পরিকল্পনা, মহাকাশ স্টেশন সরিয়ে নেওয়া তার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
১৯৯৮ সালে প্রথম আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের কিছু অংশ উৎক্ষেপণ করা হয়। এর মাধ্যমে শুরু হয় এই নভোস্টেশন নির্মাণের কাজ। যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, রাশিয়া, কানাডা এবং ইউরোপীয়—চুক্তিবদ্ধ এ পাঁচ রাষ্ট্রের যৌথ উদ্যোগে নভোচারীরা সেই ২০০০ সন থেকে এ নভোস্টেশনে এসে থেকেছেন, গবেষণা করেছেন। প্রায় ৩ হাজার ৩০০ বৈজ্ঞানিক গবেষণা চালানো হয়েছে এ নভোস্টেশনে, পৃথিবীর কক্ষপথে।
তবে এখন এর বয়স হয়ে গেছে। দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন যান্ত্রিক ও প্রযুক্তিগত ত্রুটি, লিকসহ আরও নানা সমস্যা। এসবের কারণে বিভিন্ন সময়ে নানারকম ঝামেলার মুখোমুখি হয়েছেন নভোচারীরা। তা ছাড়া চুক্তিবদ্ধ ৫ রাষ্ট্রের চুক্তিও শেষ হয়ে যাবে ২০৩০ নাগাদ।
নাসার বাজেটে এ নভোস্টেশনের কার্যক্রম ২০৩০ সালের মধ্যেই গুটিয়ে ফেলার কথা থাকলেও ঠিক কবে এটিকে পৃথিবীতে এনে ফেলা হবে, এ বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু জানা যায়নি। পাশাপাশি নাসা ছাড়া অন্যান্য দেশের মহাকাশ গবেষণা সংস্থাগুলো এ ব্যাপারে কতটা সহযোগিতা করবে বা কতটুকু দায়িত্ব নেবে, সেসব বিষয়েও এখনো কিছু জানা যায়নি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।