জুমবাংলা ডেস্ক : গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের কঞ্চিবাড়ি (ধুবনি) পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) তোফাজ্জল হোসেনকে এক প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে ‘আপত্তিকর’ অবস্থায় আটক করে গাছে বেঁধে রাখার ঘটনায় পুলিশের করা মামলায় ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এর আগে মারধর ও পুলিশের কাজে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগ এনে সুন্দরগঞ্জ থানার এসআই মিজানুর রহমান বাদী হয়ে শনিবার রাতে সুন্দরগঞ্জ থানায় মামলাটি দায়ের করেন। এরপর এ মামলায় অভিযান চালিয়ে ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করে সুন্দরগঞ্জ থানা পুলিশ। সুন্দরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল্লাহীল জামান মামলা ও গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আটককৃতরা হলেন- আবদুল খালেক, আমজাদ আলী, সুমন মিয়া, বকুল মিয়া, মকুল মিয়া, জহুরুল ইসলাম, শাহজাহান আলী, আবদুর রাজ্জাক, হামিদুল ইসলাম, রবিউল মিয়া, ইসলাম মিয়া, নাজমুল হক ও রাজু মিয়া। তাদের সবার বাড়ি ধর্মপুর গ্রামে।
সুন্দরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল্লাহীল জামান বলেন, রিমান্ডের আবেদন করে আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
ওসি বলেন, মামলায় ধর্মপুর গ্রামের মাসুদ মিয়াকে প্রধান আসামি করে ২০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৬০ থেকে ৭০ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলার অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
মামলার বরাত দিয়ে তিনি বলেন, শুক্রবার (২৯ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে সম্পত্তি নিয়ে বিরোধসংক্রান্ত একটি মামলার বাদী মৌসুমি আকতারের বাড়ি যান কঞ্চিবাড়ি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) তোফাজ্জল হোসেন। বাদীর অভিযোগ শুনে ফেরার পথে বাদী মৌসুমির ভাসুর মাসুদ এএসআই তোফাজ্জলকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন।
ওসি জানান, এ সময় চিৎকার দিয়ে মাসুদ এলাকাবাসীকে একত্র করে তোফাজ্জলকে আটক করান। এরপর তাদেরকে আপত্তিকর অবস্থায় আটকের গুজব ছড়িয়ে তোফাজ্জলকে বাড়ির উঠানের আমগাছে বেঁধে মারধর করাসহ তার পকেটে থাকা নগদ টাকা ও হাতঘড়ি ছিনিয়ে নেয় আসামিরা।
সুন্দরগঞ্জ থানা পুলিশের এ কর্মকর্তা জানান, খবর পেয়ে পুলিশ তাকে উদ্ধার করতে গেলে এলাকাবাসী উত্তেজিত হয়ে পুলিশের উপর হামলার চেষ্টা চালায়।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার (২৯ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে পারিবারিক মামলার তদন্ত করতে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ছড়ারপাতা গ্রামের এক সৌদি প্রবাসীর বাড়িতে যান এএসআই তোফাজ্জল হোসেন। সেসময় গ্রামবাসীরা অভিযোগ করেন, প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে এএসআই তোফাজ্জলকে গোয়ালঘরে ‘আপত্তিকর অবস্থায়’ দেখে ফেলেন প্রতিবেশীরা।
বিষয়টি জানাজানি হলে উত্তেজিত জনতা সেই রাতে তোফাজ্জলকে আটক করে বাড়ির উঠানের একটি আমগাছের সঙ্গে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখে। পরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে তোফাজ্জল হোসেনকে কঞ্চিবাড়ি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র থেকে গাইবান্ধা পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়।
এ বিষয়ে গাইবান্ধা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল বলেছিলেন, অভিযুক্ত এএসআইকে সাময়িকভাবে গাইবান্ধা পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। ওই নারীর সাথে পুলিশ কর্মকর্তার যোগসাজশের বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।