স্পোর্টস ডেস্ক: কাতার বিশ্বকাপে অনেক কিছুই নতুন। সেইসাথে বলও নতুন। প্রতিটি বিশ্বকাপেই নতুন বলে খেলা হয়। বলের নামও হয় ভিন্ন ভিন্ন। এবারের বিশ্বকাপ খেলা হচ্ছে ‘আল রিহলা’ বলে। আমেরিকার এক সংস্থা এবারের বল তৈরি করেছে। ওই বলেরই সাম্প্রতিক একটি ছবি অবাক করেছে গোটা বিশ্বের ফুটবলপ্রেমীদের। দেখা গেছে, বলের একটা অংশ খুলে ফেলে চার্জ দেয়া হচ্ছে। ঠিক মোবাইল, ল্যাপটপের মতোই। আর একটি ছবিতে দেখা গেছে, পাশাপাশি চারটি বল রাখা। প্রতিটিতেই চার্জ দেয়া হচ্ছে।
কেন এবারের বলে চার্জ দিতে হচ্ছে? রহস্যটি ঠিক কী?
খোলসা করেছেন বলের নির্মাতারাই। আসলে এবারের বল বাকি সবগুলো থেকে আলাদা। বলের ভেতরে সেন্সর বসানো রয়েছে। ম্যাচের সময় সেগুলো প্রতি মুহূর্তে তথ্য পাঠাচ্ছে সার্ভারে। সেকেন্ডে ৫০০ বার তথ্য পাঠানো হচ্ছে। প্রতি বার বলের সাথে কোনো কিছু স্পর্শ হলে নির্ভুল তথ্য চলে যাচ্ছে সার্ভারে। ওই সেন্সরের সাথে যুক্ত রয়েছে একটি ব্যাটারি, যার ওজন ১৪ গ্রাম। ওই ব্যাটারিকেই ম্যাচের আগে চার্জ দিতে হচ্ছে। একবার চার্জ দিলে ছয় ঘণ্টা ব্যাটারির আয়ু থাকে। নির্ভুল তথ্য পেতে প্রতি ম্যাচের আগে বল চার্জ দেয়া জরুরি।
আল রিহলা বলের গুরুত্ব বোঝা গেছে পর্তুগাল বনাম উরুগুয়ে ম্যাচে। ওই ম্যাচে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর একটি গোল নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। বলের নির্মাতারা সেন্সর থেকে পাওয়া তথ্যতে জানিয়ে দিয়েছেন, রোনালদোর সাথে বলের কোনো স্পর্শই হয়নি। ফলে সেই গোল দেয়া হয় ব্রুনো ফের্নান্দেসকে।
বল প্রস্তুতকারী সংস্থার তরফে বলা হয়েছে, ‘আমাদের যে প্রযুক্তি রয়েছে তা বলছে, রোনালদোর কোনো স্পর্শ ওই সময় বলে লাগেনি। বল গোলের দিকে যাওয়ার সময় যে স্পন্দন আমরা দেখেছি, তাতে এটা স্পষ্ট যেকোনো রকম ছোঁয়া লাগেনি। এবারের বিশ্বকাপে আল রিহলা নামে যে বল ব্যবহার করা হচ্ছে, সেটার মধ্যে সেন্সর লাগানো আছে। সেটার সাহায্যেই আমরা বলতে পারি যে বল রোনালদোর মাথায় লাগেনি।”
গ্রুপ পর্বে উরুগুয়ে বনাম পর্তুগাল ম্যাচে প্রথম গোল হয় ৫৪ মিনিটে। প্রথমার্ধে পর্তুগাল বলের দখল বেশি রাখলেও গোল করতে পারেনি। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর দিকে ফের্নান্দেসের ক্রসে মাথা ছোঁয়ানোর জন্য লাফান রোনালদো। বল জালে জড়িয়ে যেতেই উৎসব করেন তিনি। মনে হয় গোলটা তিনিই করেছেন। কিন্তু রিপ্লেতে দেখা যায় বলটি রোনালদোর মাথায় লাগেনি। ফের্নান্দেসের মারা বলটাই জালে জড়িয়েছে। গোলটি তার প্রাপ্য। সেটাই দেয়া হয়। কিন্তু ম্যাচ শেষের পরও রোনালদোকে দেখা যায় ওই গোলটি নিজের বলে দাবি করতে। তিনি জানান, বলটি তার মাথা ছুঁয়ে গোলে ঢুকেছে। কিন্তু তা মানা হয়নি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।