লাইফস্টাইল ডেস্ক : আগে বলা হত, অ্যান অ্যাপল আ ডে কিপস ডক্টর অ্যাওয়ে৷ আপেলের নাকি এমনই গুণ৷ একটা সময় এল,তখন বলা হতে লাগল, আপেলের চেয়ে একটা পাকা পেয়ারায় পুষ্টিগুণ কিছু কম নেই৷ তাই দামি আপেল ছেড়ে পেয়ারা খান৷আর তারও পর আরেকটা সময় এল,যখন আর দু-তিন টাকা দিয়ে পেয়ারা কেনা সম্ভব হল না৷ কেজিদরে পেয়ারা কেনাবেচা শুরু হল৷ বাড়তে লাগল পেয়ারের দাম ৷
তাই কথা হলো, দাম যখন গায়ে-গায়ে এসে দাঁড়িয়েছে, তখন কোনটাকে বেছে নেবেন?
দেখুন, ফল হিসেবে দুটোরই পুষ্টিগুণ কিছু কম নয়৷ আর দুটোতেই যথেষ্ট পরিমাণে রাফেজ থাকে৷ যা কোষ্ঠকাঠিন্যের মোকাবিলা করতে পারে৷ এখন কথা হল কী, শীতের দেশে তো আর বারুইপুর নেই যে, সেখানকার লোকেরা পেয়ারা খাবে৷ তাই সেখানে আপেলই ডাক্তারদের দূরে রাখে৷ কিন্তু আমাদের এখানে যখন পেয়ারাক জোগান অফুরন্ত, সেখানে পেয়ারা ছে়ড়ে আপেল খেতে যাবেন কোন দুঃখে? তবে হ্যাঁ, পেয়ারা হজম করা কিন্তু বেশ শক্ত৷ অনেকেই কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য পেয়ারা খান বটে, কিন্তু তারপরে অ্যাসিডিটির সমস্যায় ভোগেন৷ সে তুলনায় কিন্তু আপেল হজম করা অনেক সহজ৷ তবে মনে রাখবেন, আপেল খেয়েও অনেকে কিন্তু অ্যাসিডিটির সমস্যায় ভোগেন৷ তাই সেক্ষেত্রে তাঁরা কলা খেতে পারেন৷ যদি-না ডায়াবেটিস থাকে, তাহলে কলা কিন্তু সবাই খেতে পারেন৷
যাইহোক, মোদ্দা কথা হল, আপেল বা পেয়ারা কোনওটাই কোনওটার চেয়ে কম যায় না৷ আপনার পেট আর পকেট বুঝে যেকোনও একটাকে বেছে নিন৷ ব্যস৷
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।