আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মার্কিন ও ন্যাটো বাহিনী যখন আফগানিস্তান থেকে চলে যাচ্ছে, তখন একের পর এক এলাকা দখল করে নিচ্ছে তলেবান। দখল করে নিচ্ছে একের পর এক জেলাও। এবার আঞ্চলিক রাজধানী দখল হতে পারে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। খবর রয়টার্স, এএফপি ও ডিপিএ’র।
আফগানিস্তানে জাতিসংঘের বিশেষ দূত লিওনস জানিয়েছেন, তালেবান ইতিমধ্যেই ৫০টি জেলা দখল করে নিয়েছে। তারা এবার আঞ্চলিক রাজধানীগুলি দখল করার দিকে এগোচ্ছে। গত মে মাস থেকে তারা এই কাজ করছে। জাতিসংঘের মতে, তালেবান এভাবে একের পর এক এলাকা দখল করে নিলে আফগানিস্তানের শান্তি প্রক্রিয়া ধাক্কা খাবে। এলাকায় আবার উত্তেজনা দেখা দেবে।
আফগানিস্তান থেকে মার্কিন ও ন্যাটো বাহিনী ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে চলে যাবে। ইতিমধ্যেই সেনা সরানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে। তারপর থেকে তালেবান আরো বেশি আক্রমণাত্মক হয়েছে। তাদের এতদিন শক্ত ঘাঁটি ছিল দক্ষিণ আফগানিস্তান। তারা এবার উত্তর দিকে একের পর এক এলাকা দখল করছে।
আফগান কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তালেবান তাজিকিস্তান-আফগানিস্তানের সীমান্ত-শহর দখল করে নিয়েছে। এছাড়া উত্তরের আরো দুইটি জােলা নাহরিন এবং বাঘলান-ই-মারকাজিও তারা কব্জা করেছে।
লিওনস বলেছেন, ”তালেবান আগ্রাসী সামরিক অভিযান চালাচ্ছে। তারা যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, তা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। তারা যদি এই সামরিক অভিযান অব্যাহত রাখে, তা হলে তা খুবই দুঃখজনক হবে। এর ফলে কাছে ও দূরের অনেক দেশই নিজেদের সুরক্ষা নিয়ে ভাবতে বাধ্য হবে।”
তালেবান যেভাবে দ্রুত এলাকা দখল করছে, তাতে অ্যামেরিকা কী করবে? মর্কিন কর্মকর্তারা জানাচ্ছেন, তারা সেনা প্রত্যাহার করবেন। কিন্তু একইসঙ্গে তারা তালেবান-অভিযান নিয়ে সব তথ্য জোগাড় করছেন। প্রয়োজন হলে প্রতিবেশী কোনো দেশ থেকে তারা তালেবানের উপর আঘাত হানবেন।
কিন্তু এই অঞ্চলে নতুন কোনো মার্কিন সামরিক ঘাঁটি তৈরি করা কঠিন হবে। বিশেষ করে চীন ও রাশিয়া এই অঞ্চলে মার্কিন সমরিক ঘাঁটির বিরোধিতা করবে। পাকিস্তানও জানিয়ে দিয়েছে, তারা সেখানে মার্কিন সামরিক ঘাঁটি করতে দেবে না।
জাতিসংঘে মার্কিন দূত লিন্ডা টমাস গ্রিনফিল্ড বলেছেন, ”আফগান জনগণ শান্তি ও স্থায়িত্ব চায়। সে জন্য অ্যামেরিকা কূটনৈতিক ও সামরিক সাহায্য করবে।”
২০ বছর আগে ২০০১ সালে ৯/১১-র পর অ্যামেরিকা আফগানিস্তানে সেনা পাঠিয়েছিল। তালেবান শাসনের পতন হয়েছিল। এখন আবার আফগানিস্তানে শক্তি বাড়াচ্ছে ও অনেকখানি এলাকা দখল করে নিয়েছে তালেবান। এই অবস্থায় আগামী শুক্রবার আফগান প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইড
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।