জুমবাংলা ডেস্ক : বরগুনার বহুল আলোচিত রিফাত শরীফ হ*ত্যাকাণ্ডের ঘটনায় একের পর এক বেরিয়ে আসছে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য। রিফাতকে প্রকাশ্যে কু*পিয়ে হ*ত্যার সময় সেখানে উপস্থিত অনেকে থাকলেও কেউ এগিয়ে আসেনি। স্বামীকে বাঁচাতে খু*নিদের সঙ্গে স্ত্রী মিন্নির লড়াইয়ের ভিডিও ভাইরাল হলে দেশবাসীর প্রশংসায় ভাসে মিন্নি। যদিও শুরু থেকেই অনেকের সন্দেহের নজরে ছিলেন মিন্নিও। হত্যার নতুন আরেকটি ভিডিও প্রকাশ হলে মিন্নির প্রতি মানুষের এবং রিফাতের পরিবারের সন্দেহ আরও বেড়ে যায়। মিন্নিকে নিয়ে যখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনা তুঙ্গে, ঠিক তখনই নতুন করে বো*মা ফাটালেন রিফাত হ*ত্যার প্রধান আসামি ব*ন্দুকযু*দ্ধে নি*হত নয়ন বন্ডের মা।
নয়ন বন্ডের মা শাহিদা বেগম বলেন, রিফাত শরীফ হ*ত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে ২৬ জুন (বুধবার)। এর আগের দিন মঙ্গলবারও মিন্নি আমাদের বাসায় এসে নয়নের সঙ্গে দেখা করে। আমার ছেলে তো মা*রাই গেছে। আমার তো আর মিথ্যা বলার কিছু নেই। মিন্নি যে মঙ্গলবারও আমাদের বাসায় গিয়েছিল তা আমার প্রতিবেশীরাও দেখেছে।
নয়ন বন্ডের মা আরও বলেন, শুধু হ*ত্যাকাণ্ডের আগের দিন মঙ্গলবারই নয়; রিফাত শরীফের সঙ্গে বিয়ে হওয়ার পরও মিন্নি নিয়মিত আমাদের বাসায় এসে নয়নের সঙ্গে দেখা করত। মোটরসাইকেলে মিন্নিকে রিফাত শরীফ কলেজে নামিয়ে দিয়ে চলে যেত। এরপর মিন্নি আমাদের বাসায় চলে আসত। আবার কলেজের ক্লাস শেষ হওয়ার আগ মুহূর্তে মিন্নি আমাদের বাসা থেকে বের হয়ে কলেজে যেত।
রিফাত হ*ত্যাকাণ্ডের সঙ্গে মিন্নি জড়িত দাবি করে নয়নের মা শাহিদা বেগম বলেন, রিফাতের সঙ্গে মিন্নির বিয়ের খবর পাওয়ার পর আমি আমার ছেলেকে অনেক নিষেধ করেছি, যোগাযোগ না রাখতে। কিন্তু আমার ছেলে নয়ন কখনও আমার কথা শুনত না। ওর মনে যা চাইতো ও তা-ই করত। নয়ন যদি আমার কথা শুনত তাহলে এমন নির্মম ঘটনা ঘটত না।
এদিকে গতকাল নি*হত রিফাত শরীফের বাবা এক সংবাদ সম্মেলনে তার পুত্রবধূ মিন্নির গ্রে*ফতারের দাবি জানিয়েছেন। রিফাতের বাবা আব্দুল হালিম দুলাল শরীফ সংবাদ সম্মেলনে কাঁদতে কাঁদতে বলেন, নি*হত রিফাত শরীফের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিকে দ্রুত গ্রে*ফতার করুন। তাকে গ্রে*ফতার করলে আমার ছেলে হত্যার মূল রহস্য বের হয়ে যাবে। আমার ছেলে হ*ত্যার পেছনে পুত্রবধূ মিন্নির হাত রয়েছে। আসলে আমার পুত্রবধূই ভিলেন। তার সহযোগিতায় আমার ছেলেকে হ*ত্যা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি আগে নয়ন বন্ডকে বিয়ে করেছিল। ওই বিয়ে গোপন করে রিফাত শরীফকে বিয়ে করে মিন্নি। বিষয়টি আমাদের জানায়নি মিন্নি এবং তার পরিবার। কাজেই রিফাত শরীফ হ*ত্যার পেছনে মিন্নির মদদ রয়েছে। তাকে গ্রে*ফতার করে আইনের আওতায় আনলে সব বিষয় পরিষ্কার হয়ে যাবে। কারণ এই হ*ত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে রয়েছে মিন্নি।
তিনি আরও বলেন, রিফাতের সঙ্গে বিয়ের পরও মিন্নি নয়নের বাসায় যাওয়া-আসা করতো। নিয়মিতভাবে নয়নের সঙ্গে যোগাযোগ করতো সে। এমনকি ঘটনার পরও তার সঙ্গে নয়নের যোগাযোগ ছিল।
শ্বশুর দুলাল শরীফ বলেন, ঘটনার দিন রিফাতকে ছাড়া কলেজে গেলেও ঘটনার কিছু সময় আগে রিফাতকে বাসা থেকে কলেজে ডেকে নিয়ে যায় মিন্নি। কারণ হ*ত্যাকারীদের সঙ্গে মিন্নির আগে থেকে যোগাযোগ ছিল। মোটরসাইকেলে কলেজ থেকে মিন্নিকে নিয়ে আসার জন্য রিফাত গেলে হ*ত্যাকারীদের না দেখে আবার কলেজে ঢুকে যায় মিন্নি। সেই সঙ্গে সময় কাটাতে থাকে। পরে হ*ত্যাকারীদের উপস্থিতি দেখে মিন্নি কলেজ থেকে বের হয়। ওই সময় মিন্নিকে নিয়ে আসতে গেলে আমার ছেলের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে হ*ত্যাকারীররা।
তিনি বলেন, মিডিয়ায় প্রকাশিত নতুন ভিডিওতে বিষয়টি পরিষ্কার দেখা যায়। আমার ছেলেকে রিফাত ফরাজী ও অন্যরা যখন মা*রধর করতে করতে নিয়ে যায় তখন স্বাভাবিকভাবে পেছনে পেছনে হাঁটছিল মিন্নি। যা কোনোভাবেই আমি নিতে পারিনি। এটি দেখে পরিষ্কার বুঝা যায় আমার ছেলে হ*ত্যার পেছনে মিন্নির হাত রয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।