জুমবাংলা ডেস্ক : আবারো বাড়ানো হলো সয়াবিন তেলের মূল্য। প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম চার টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে। ফলে সাধারণ মানুষের জন্য সয়াবিনের এক লিটারের বোতলের দাম হবে ১৫৩ টাকা। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে গতকাল ব্যবসায়ীদের এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয় বলে জানা গেছে।
বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ এ বিষয়ে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, দাম পুনঃনির্ধারণের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক বাজার পরিস্থিতি বিবেচনায় নেয়া হয়েছে।
তিনি জানান, পরিশোধিত ও অপরিশোধিত তেলের কাঁচামালের দাম ঊর্ধ্বমুখী। তা সত্ত্বেও কোরবানি ঈদ, শোকাবহ আগস্টসহ করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে এত দিন দাম পুনঃনির্ধারণ করা হয়নি। তবে রোববার এ-সংক্রান্ত জাতীয় কমিটি সর্বসম্মতিক্রমে লিটারে ভোজ্যতেলের দাম চার টাকা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
খোলা সয়াবিন তেল প্রতি লিটারের দাম ধরা হয়েছে ১২৯ টাকা। আগে এ দাম ছিল ১২৫ টাকা। বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারপ্রতি ধরা হয়েছে ১৫৩ টাকা, যা আগে ছিল ১৪৯ টাকা। পাঁচ লিটার সয়াবিন তেলের দাম ৭২৮ টাকা ধরা হয়েছে, যা আগে ছিল ৭২৪ টাকা। আর খোলা পাম সুপার প্রতি লিটার ১১৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে, যা আগে ছিল ১১২ টাকা।
ভোজ্যতেল পরিশোধন ও বিপণনকারীদের সংগঠন বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন গত ৩০ জুন সয়াবিন তেলের দাম চার টাকা কমানোর কথা জানিয়েছিল। এ সময় উল্লেখ করা হয়েছিল, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের সাথে আলোচনাসাপেক্ষে পবিত্র ঈদুল আজহা, করোনাভাইরাস পরিস্থিতি ও ভোক্তার ক্রয়ক্ষমতা বিবেচনা করে সয়াবিন, পাম ও অন্যান্য ভোজ্যতেলের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। এর আগে গত ২৭ মে সয়াবিন তেলের দাম এক লাফে ৯ টাকা বাড়ানো হয়েছিল। তাতে বোতলজাত এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ১৪৪ টাকা থেকে বেড়ে লিটার-প্রতি ১৫৩ টাকা হয়। এবার আবার দর ১৫৩ টাকায় ফিরল।
দেশে গত এক দশকের মধ্যে ভোজ্যতেলের সর্বোচ্চ দাম ছিল ২০১২ সালের মাঝামাঝি। ওই বছর বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটার-প্রতি ১৩৫ টাকায় বিক্রি হয়েছিল।
ভোজ্যতেলের দাম বৃদ্ধির জন্য আন্তর্জাতিক বাজারকে দায়ী করছেন ব্যবসায়ীরা। তাদের দাবি, দেশের সয়াবিনের উৎস ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা ও প্যারাগুয়েতে সয়াবিনের দাম বাড়ছেই। তারা গত মাসেই দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছিল।
জানা যায়, দেশে ভোজ্যতেলের বার্ষিক চাহিদা প্রায় ২০ লাখ মেট্রিক টন। এর প্রায় ৯০ শতাংশ আন্তর্জাতিক বাজার থেকে আমদানির মাধ্যমে পূরণ করা হয়। অন্য দিকে দেশে যে তেল ব্যবহার করা হয় এর ৭০ শতাংশই পাম সুপার। বিগত জুলাই মাস থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত সয়াবিন ও অপরিশোধিত পাম তেলের বাজারমূল্যে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বিদ্যমান রয়েছে। গত মার্চ মাসে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি মেট্রিক টন অপরিশোধিত সয়াবিন তেলের এফওবি মূল্য এক হাজার ২৭৫ মার্কিন ডলার এবং অপরিশোধিত পাম তেলের এফওবি মূল্য এক হাজার ৩৭ মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছিল।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।