জুমবাংলা ডেস্ক : সাধারণ মানুষের উপস্থিত বুদ্ধিতে বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেল পঞ্চগড়গামী আন্তঃনগর একতা এক্সপ্রেস ট্রেন। প্রাণে বাঁচলেন হাজারো যাত্রী। ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া ট্রেনটি তখন রানীনগর স্টেশনে ঢুকছিল। এমন সময় এক ব্যক্তি দেখতে পান রাণীনগর স্টেশন আউটারে চকের ব্রিজের আগে রেললাইন ভাঙা। তার সংকেত পেয়ে ট্রেন থামিয়ে দেন চালক। বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পায় ট্রেনটি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, রাণীনগর-শাহাগোলা সেকশনে লাইন ভেঙ্গে যাওয়ার ব্যাপারটি খেয়াল করেছিলেন আবু বক্কর সিদ্দিক নামের ওই ব্যক্তি। তার বাড়ি বড়বড়িয়া এলাকায়। তাৎক্ষণিকভাবে তার বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া যায়নি। ট্রেন আসতে দেখে আবু বক্কর লাল জামা উড়িয়ে বিপদ সংকেত দেন। সেটা দেখে ট্রেনের চালক দক্ষতার সঙ্গে চলতি ট্রেন থামিয়ে দিলে দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পান যাত্রীর।
একতা এক্সপ্রেস ট্রেনটির লোকো মাস্টার (প্রধান চালক) রাহী আহমেদ বলেন, ‘আমি প্রথমে লাল গেঞ্জি দেখতে পাই, পরে দেখি আরেকজন মোবাইলের লাল আলো দিয়ে হাত নাড়াচ্ছে। আমি সঙ্গে সঙ্গে ট্রেনটি দাঁড় করিয়ে দেই। হেফাজত করার মালিক আল্লাহ। যাদের জন্য ট্রেনটি দাঁড় করাতে পারছি আল্লাহ তাদের মঙ্গল করুন।’
দেখা গেছে, রেল লাইনের একটি পাতের নিচের অংশ ভেঙে পড়ে গেছে। যার ফলে প্রায় দ্বিখণ্ডিত হয়ে গেছে লাইনটি। কোনো ট্রেন এর ওপর দিয়ে গেলে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা বেশি ছিল। সর্বশেষ পাওয়া খবরে লাইন মেরামতের কাজ চলছে। ট্রেন চলাচল বন্ধ। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আন্তঃনগর একতা এক্সপ্রেস ঘটনাস্থলে আটকা পড়েছে। রানীনগরে আটকা পড়েছে ঢাকাগামী আন্তঃনগর পঞ্চগড় এক্সপ্রেস। দ্রুত লাইন মেরামত করে ট্রেন যোগাযোগ স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।