জুমবাংলা ডেস্ক : এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে তরুণীকে গণধ’র্ষণ ঘটনায় গ্রে’ফতার প্রধান আ’সামি সাইফুর ও অর্জুন নিজেদের নি’র্দোষ দাবি করেছেন। সোমবার রিমা’ন্ড শুনানিকালে আ’দালতের বিচারক আ’সামিদের বক্তব্য জানতে চাইলে তারা এ কথা বলেন। সাইফুর ও অর্জুন আ’দালতকে বলেন, ছাত্রাবাসের ঘটনার সঙ্গে আমরা জ’ড়িত নই। আমরা কোন অপ’রাধ করিনি। এই ঘটনা ঘটিয়েছে রাজন, তারেক ও আইনউদ্দিন।
এদিকে রিমা’ন্ড শুনা’নিকালে আ’সামি সাইফুর রহমান ও অর্জুন লস্করের পক্ষে কোন আইনজীবী উকালতনামা আদা’লতে দাখিল করেননি। এর আগে পুলিশ প্রহরায় প্রিজন ভ্যানে করে বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে সাইফুর ও অর্জুনকে আ’দালতে নিয়ে আসা হয়। অপ্রী’তিকর ঘটনা এড়াতে আ’দালত এলাকায় কড়া পুলিশ প্রহরা ছিল। আসা’মি দুই ছাত্রলীগ কর্মীর বক্তব্য শুনার পরপরই তাদের ৫ দিনের রিমা’ন্ড মঞ্জুর করেন আ’দালত।
রাষ্ট্রপক্ষের এপিপি অ্যাড’ভোকেট খোকন কুমার দত্ত জানান, আদা’লতে রি’মান্ড শুনানিকালে আসা’মিদের পক্ষে কোন আইনজীবী উকালতনামা দাখিল করেননি। তবে বাদী পক্ষের হয়ে বেশ কয়েকজন আইনজীবী শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন। বাদী পক্ষের এডভো’কেট ইফতেখার আলম শোয়েব বলেন, মাম’লার তদন্ত কর্মকর্তা ৭ দিনের রিমা’ন্ড আবেদন করেন দুজন আসা’মির বিরু’দ্ধে।
গত শুক্রবার সন্ধ্যায় এমসি কলেজ এলাকায় গাড়ি নিয়ে বেড়াতে যান স্বামী ও স্ত্রী। ঐ সময় ৫-৬ জন যুবক এসে জোরপূর্বক ঐ দম্প’তিকে ছাত্রাবাসে নিয়ে যায়। সেখানে একটি কক্ষে স্বামীকে বেঁধে রেখে ১৯ বছরের নববধূকে গণধ’র্ষণ করে তারা। গণধ’র্ষণের ঘটনার পর ছয়জনের নাম উল্লেখসহ অ’জ্ঞাত আরও তিনজনকে আসা’মি করে নগরীর শাহপরান থা’নায় মা’মলা করেন ধর্ষি’তার স্বামী।
মাম’লার আসামিরা হলেন- সাইফুর রহমান, মাহবুবুর রহমান রনি, তারেক, অর্জুন লঙ্কর, রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান। এদের মধ্যে চারজন ওই কলেজের শিক্ষার্থী। এরা সবাই ছাত্র’লীগের রাজ’নীতির সঙ্গে জড়িত। সূত্র : ইত্তেফাক।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।