জুমবাংলা ডেস্ক : ভারতের অযোধ্যা বিতর্ক নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়কে মেনে নিয়েছেন স্থানীয় শাহী ইমাম সৈয়দ আহমেদ বুখারি, ‘সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড’ এবং ‘মুসলিম পার্সোনাল ল’ বোর্ড’। শনিবার (৯ নভেম্বর) আদালতের রায়ের পর ভিন্ন ভিন্ন প্রতিক্রিয়ায় তারা নিজেদের এ অবস্থান তুলে ধরেন।
রায়ের পর এক সংবাদ সম্মেলনে নিজের অবস্থা তুলে ধরেন শাহী ইমাম সৈয়দ আহমেদ বুখারি। তিনি বলেন, আমরা আদালতের রায় মেনে নিচ্ছি। দীর্ঘ সময় চলমান হিন্দু-মুসলিম ইস্যুটি এ রায়ের মাধ্যমে সমাপ্ত হওয়া উচিৎ।
রায়ের রিভিউ আবেদন করা হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে আহমেদ বুখারি বলেন, বিষয়টি আর প্রলম্বিত করা উচিৎ হবে না।
তিনি বলেন, ভারতীয় মুসলিমরা এ দেশে শান্তি চায়। আদালতের রায়ের আগেই সব মুসলিমই বলেছে, কোর্ট যে রায় দেবে তা আমরা মেনে নেব।
এদিকে, এ রায়কে স্বাগত জানিয়েছে, সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড এবং মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড। তবে তারা এ রায়ে ‘সন্তুষ্ট’ নয় বলে মন্তব্য করেছে।
রায় প্রকাশের পর ওয়াকফ বোর্ডের আইনজীবী জাফরাইব জিলানি বলেন, ‘আমরা রায়কে সম্মান জানাই। কিন্তু, এতে আমরা সন্তুষ্ট নই। আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে চিন্তা ভাবনা করব।’
তবে রায় নিয়ে মুসলিমরা কোনো বিক্ষোভ বা প্রতিবাদের পথে যাবেন না বলেও স্পষ্ট জানিয়ে দেন তিনি।
রায় নিয়ে আজমির শরীফের দেওয়ান সৈয়দ জয়নুল আবেদিন বলেছেন, ‘এই রায়ে কারও জয় হয়নি, কারও পরাজয়ও হয়নি। আমাদের সুপ্রিম কোর্টের রায় মেনে নেওয়া উচিত। দেশের স্বার্থে আমাদের এখনই এই বিতর্কের ইতি টানা উচিত।’
এর আগে শনিবার বহুল প্রতীক্ষিত বাবরি মসজিদ মামলার রায় ঘোষণা করেন দেশটির সর্ব্বোচ্চ আদালত। রায়ে মসজিদের ‘বিতর্কিত’ ওই জমি সরকার পরিচালিত একটি ট্রাস্টকে দেয়া হবে। তারা সেখানে একটি মন্দির নির্মাণ করবে।
তবে অযোধ্যাতেই অন্যত্র একটি মসজিদ গড়ার জন্যও সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকে পাঁচ একর জমি বরাদ্দ করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
অযোধ্যার যে ২.৭৭ একর জমিকে বিরোধের মূল কেন্দ্র বলে গণ্য করা হয়, তা বরাদ্দ করা হয়েছে ‘রামলালা বিরাজমান’ বা হিন্দুদের ভগবান শ্রীরামচন্দ্রের বিগ্রহকে। যার অর্থ সেখানে রামমন্দিরই তৈরি হবে।
ভারতের শীর্ষ আদালতে পাঁচ সদস্যের একটি সাংবিধানিক বেঞ্চ সর্বসম্মতভাবে শনিবার এ রায় দিয়েছেন। প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈর নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক আদালত এ রায় দিয়েছেন।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া ও আনন্দবাজার পত্রিকা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।