জুমবাংলা ডেস্ক : নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বলেছেন, এখানে প্রশাসনের দুঃশাসন চলছে। আমার কর্মী-সমর্থকদের বাড়িতে গিয়ে পুলিশ হানা দিচ্ছে। আমি দুটি অভিযোগ দেয়ার পরও পুলিশ এগুলো আমলে না নিয়ে আকাশের ঠিকানায় নাকি পাঠিয়ে দিয়েছে।
মুজিব শতবর্ষের মেলার সমাপনী মঞ্চে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে রোববার সন্ধ্যার পর আলোচনা সভায় বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
মেয়র কাদের মির্জা বলেন, সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন মুজাক্কির হত্যা মামলাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার ষড়যন্ত্র করছেন নোয়াখালীর পুলিশ সুপার। আজ দুজনকে গ্রেফতার করে টাকার বিনিময়ে একজনকে ছেড়ে দিয়েছেন, অপরজনকে মুজাক্কির হত্যা মামলায় নাকি গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআই অথবা জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা (এনএসআই) দিয়ে তদন্ত করা হোক অথবা ঢাকা থেকে জুডিশিয়াল ইনকোয়ারি করা হোক। ওই তদন্তে আমিও যদি এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকি, তাহলে আমারও বিচার করা হোক।
তিনি বলেন, আমি একমাত্র উপরে আল্লাহ আর নিচে আমার নেত্রী শেখ হাসিনা ছাড়া এ দুয়ের বাইরে আমি নাই। কারও রক্তচক্ষুকে আমি ভয় করি না। কে কত বড় নেতা সবাইকে আমি চিনি এবং জানি। ওয়ান ইলেভেনের (সেনাশাসন চলাকালে) সময় সব নেতাকে আমি দেখেছি। এখান থেকে ঢাকা পর্যন্ত কে কী করেছেন আমি সব জানি।
কাদের মির্জা বলেন, গত ৪৭ বছরের রাজনীতিতে আমি যাদের পুনর্বাসন করেছি, তারা আজ আমার সঙ্গে নেই। কারণ আমি মাদকের বিরুদ্ধে কথা বলেছি। আগামী ইউপি নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হওয়ার বিষয়ে বলে আসছি। স্বাধীনতার পর যে জাসদের অস্ত্রের ঝনঝনানি দেখা গেছে, সেই জাসদের অস্ত্র এখন কোথায়। কেউ আমার সঙ্গে না থাকলেও আমি একাই কর্মসূচি পালন করব, লড়ে যাব।
এ সময় তিনি কবিগুরু রবিঠাকুরের গানের ছন্দ উল্লেখ করে বলেন- যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে, তবে একলা চল একলা চল রে।
বামনী ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ রাহবার হোসেনের সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন- কাদের মির্জা ঘোষিত কমিটির উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হাসান ইমাম বাদল, একই কমিটির সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক শওকত আজিম জাবেদ, জেলা কমিউনিস্ট পাটির সভাপতি শহীদ উদ্দিন বাবুল এবং সহযোগী সংগঠনের নেতারা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।