বুড়িগঙ্গা নদীর কেরানীগঞ্জের ফরাশগঞ্জ ঘাটে যাত্রীবাহী লঞ্চ ডুবে মৃত্যু বেড়ে ৩০ জনে দাঁড়িয়েছে। এরমধ্যে আটজন নারী, তিনজন শিশু এবং ১৯ জন পুরুষ রয়েছেন। আরও অনেক নিখোঁজ রয়েছেন। এখনও উদ্ধার কাজ অব্যাহত।
নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বাকিদের উদ্ধারে তৎপরতা চালাচ্ছেন নৌবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। এছাড়া ঘটনাস্থলে রয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাজ্জাদ হোসাইন।
ভয়াবহ এই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে বেঁচে ফিরেছেন মুন্সিগঞ্জের পশ্চিমপাড়ার বাসিন্দা জাহাঙ্গীর। যাত্রীবাহী ডুবে যাওয়া লঞ্চ থেকে যে যেদিকে পারে বাঁচার চেষ্টা করে। তাদের মধ্যে বেঁচে যাওয়া অন্যতম একজন জাহাঙ্গীর। নির্মম এই দুর্ঘটনার বর্ণনা দিচ্ছিলেন তিনি। জাহাঙ্গির বলছেন, সদরঘাটের কাছাকাছি চলে আসে আমাদের লঞ্চ। এমন সময় আরেকটা লঞ্চ এসে ধাক্কা দেয়। সাথে সাথেই আমাদেরটা উল্টে যায়। ওসময় আমরা যে যেভাবে পারি বাঁচার চেষ্টা করি। ওই লঞ্চে যাত্রী ছিলেন ১০০ এর মতো, তার সাথে ছিলেন ৭ জন। তাদেরকে তিনি আর খুঁজে পাননি। জাহাঙ্গীর বলছেন, আমার চোখে দেখা ৭ জনকে পাইনি। তাদের কেউ ফিরেনি।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী অনেকে বলছেন, সকাল পৌনে ৯টায় মুন্সিগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা দুই তলা মর্নিং বার্ড লঞ্চটি সদরঘাট কাঠপট্টি ঘাটে ভেড়ানোর খানিক আগে চাঁদপুরগামী ময়ূর-২ লঞ্চটি ধাক্কা দেয়। এতে সঙ্গে সঙ্গে মর্নিং বার্ড লঞ্চটি ডুবে যায়। লঞ্চটিতে ১০০ জন যাত্রী ছিলেন। এখন পযন্ত ২৫ জনের মতো মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজদের উদ্ধারে অভিযান চালাচ্ছে ফায়ার সার্ভিস, কোস্টগার্ড, নৌবাহিনীর সদস্যরা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।