স্পোর্টস ডেস্ক : ত্রিদেশীয় সিরিজ জয় দিয়ে শুরু করার স্বস্তির চেয়ে কোনো অংশে কম নয় সৌম্য সরকারের ফর্মে ফেরার স্বস্তির ‘মাত্রা’। বিশ্বকাপ স্কোয়াডে জায়গা পাওয়ার পর তাকে নিয়ে সমালোচনার ঢেউ আছড়ে পড়ছিল ক্রিকেট অঙ্গনে। সেই সমালোচনাকে দুই দফায় ঠেলে সরিয়েছেন বহুদূরে। প্রথম দফা ডিপিএলে টানা শতক ও দ্বি-শতক হাঁকিয়ে, দ্বিতীয় দফা ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে ৭৩ রানের ঝড়ো ইনিংসে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম যথাসম্ভব এড়িয়ে চললেও তাকে নিয়ে সমালোচনা হয় তা তো অজানা নয় সৌম্যর। আর তাই নেতিবাচক মন্তব্য সব ঝেড়ে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা থাকে, খুঁজে বেড়ান ইতিবাচকতা। সৌম্য জানালেন, নেতিবাচক কথা যেন প্রভাব না ফেলে এজন্য নিন্দুকদের কাছ থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করেন তিনি, ‘প্রভাব তো সবার ওপরই ফেলে। এখন কেউ যদি নেতিবাচক কথা বলে খুশি হয়… আমার তো শুনতে খারাপই লাগে। এগুলো এড়িয়ে ইতিবাচক ব্যাপার নিজের মাথায় নেওয়ার চেষ্টা করি। যারা নেতিবাচক বলে তাদের থেকে দূরে থাকা চেষ্টা করি।’
উইকেটে আরও একটু সময় থাকতে পারলে হয়ত ডিপিএলের ধারাবাহিকতায় এখানেও পেয়ে যেতেন তিন অঙ্কের রানের দেখা। সেটি না হওয়ায় খানিক আক্ষেপ কাজ করছে এই বাঁহাতি ওপেনারের।সৌম্য বলেন, ‘সেঞ্চুরি হাতছাড়া হলে তো আক্ষেপ থাকেই। এখান থেকে যেন ভালো শিক্ষা নিতে পারি। রান করলে ভালো লাগে। ইনিংসটা আরও বড় করতে পারলে আরও ভালো লাগা কাজ করত, আরও আত্মবিশ্বাস পেতাম। (শতকের) সুযোগটা আজ হাতছাড়া হল। বাকি যে ম্যাচগুলো আছে সেখানে এমন সুযোগ পেলে যাতে হাতছাড়া না হয়…’
প্রস্তুতি ম্যাচে আয়ারল্যান্ড উলভসের কাছে হেরে একটু হলেও তো মনোবল ভেঙেছিল। বিশ্বকাপের ৯ প্রতিপক্ষের একটির বিপক্ষে পাওয়া মঙ্গলবারের (৭ মে) জয়ে আত্মবিশ্বাস খুঁজে পেয়েছেন আবার। সৌম্য বলেন, ‘জয় তো সবাইকেই আত্মবিশ্বাস দেয়। তিন দলের মধ্যে যারা ভালো খেলবে তারাই জিতবে। একটা ম্যাচ গেল, আরও ম্যাচ আছে। চেষ্টা করব সবাই সেরাটা দেওয়ার।’
আয়ারল্যান্ডে চলমান ত্রিদেশীয় সিরিজে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ঠাণ্ডাও। হাড়কাঁপানো এমন শীতে টাইগাররা অভ্যস্ত নন।
এ বিষয়ে সৌম্যর ভাষ্য, ‘কন্ডিশন তো আমরা বদলাতে পারব না।’ তাই তার অভিমত, কন্ডিশন নিয়ে চিন্তা না করাই শ্রেয় বাংলাদেশের জন্য।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।