জুমবাংলা ডেস্ক: তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি বাদ দিয়ে নির্বাচনের পথে আসার জন্য বিএনপির প্রতি আহবান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের পথে আসুন, তা না হলে আম-ছালা দুটোই যাবে। সোজা পথে আসুন। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি বাদ দিয়ে নির্বাচনের পথে আসুন।’
ওবায়দুল কাদের সিরিজ বোমা হামলার প্রতিবাদে আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে এ কথা বলেন। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর আওয়ামী লীগ যৌথভাবে এ সমাবেশের আয়োজন করে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘পৃথিবীতে একটি মাত্র দেশ আছে, যেখানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা রয়েছে। আমি ফখরুল ইসলামকে বলবো আপনি দলবল নিয়ে পাকিস্তানে চলে যান। কারণ পৃথিবীতে আর কোন দেশে এই সরকার ব্যবস্থা নেই।’
‘আওয়ামী লীগ জিয়া পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করতে চায়’ বিএনপি মহাসচিবের এমন বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ফখরুল সাহেব ইতিহাস ভুলে গেছেন? আজকে অবাক লাগে মির্জা ফখরুল যখন বলেন- আওয়ামী লীগ নাকি জিয়া পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য ষড়যন্ত্র করছে। দিনের আলোতে যাদের চক্ষুলজ্জা নেই তারা অন্ধকারে এ কথা বলতে পারে।
তিনি বলেন, এ মাসটি আমাদের জন্য রক্তক্ষরণের মাস। এ মাসে আমাদের বেদনার অশ্রু গড়িয়ে পড়ে। এই মাসে ভয়াল ট্র্যাজেডি আমাদেরকে আমাদের আন্দোলন, আমাদের সংগ্রাম এবং বঙ্গবন্ধু হত্যাকা- স্মরণ করিয়ে দেয়। বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে বিশ্বস্ত ঠিকানার নাম শেখ হাসিনা।
ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে কোথা থেকে কোথায় নিয়ে এসেছেন? ১৫ বছর আগের বাংলাদেশ আর আজকের বাংলাদেশ। দেশকে অন্ধকার থেকে আলোকিত করেছেন আজকের শেখ হাসিনা। এখানে মানুষ অভাব অনটনে থাকত, এখানকার মানুষ অন্ধকারে থাকত। সেই বাংলাদেশকে আজকে তিনি উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশে রূপান্তরিত করেছেন।
ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক ও মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ ও আ ফ ম বাহা উদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম ও এস এম কামাল হোসেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমদ মন্নাফি, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি, দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, সহ-সভাপতি নুরুল আমিন রুহুল ও ডা. দিলীপ রায়, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোর্শেদ হোসেন কামাল ও মহিউদ্দিন মহি, সাংগঠনিক সম্পাদক আকতার হোসেন, উত্তরের সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক রানা, দক্ষিণের দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার বাংলাদেশকে একটি জঙ্গিবাদী রাষ্ট্রে পরিণত করতে চেয়েছিল। দেশব্যাপী সিরিজ বোমা হামলা তার প্রমাণ। জঙ্গি তাদের সৃষ্টি। বিএনপি দেশে গুম-খুন নির্যাতন শুরু করেছিল। টেকব্যাক বাংলাদেশের মাধ্যমে তারা আবার দেশকে সেই ধারায় নিয়ে যেতে চায়। সেটি হতে দেওয়া হবে না।
দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজে (বিএসএমএমইউ) হামলার ঘটনাকে তান্ডব বলে আখ্যা দিয়ে বাহাউদ্দীন নাছিম বলেন, বিএনপি-জামায়াত এখনো অপশক্তির উপর ভর করে, সন্ত্রাসী শক্তির উপর ভর করে মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে চায়। এরাই গত ১৪ আগস্ট দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে তান্ডব চালিয়েছিল। এই তান্ডবের সঙ্গে বিএনপির হাত ছিল।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু হাসপাতালের চিকিৎসকরা আজ আতঙ্কগ্রস্থ। জঙ্গিবাদী শক্তি এখনো নির্মূল হয়নি। এরা বিএনপি জামায়াতে আড়ালে আছে। তাদের রুখতে হবে।
উল্লেখ্য, ২০০৫ সালে ১৭ আগস্ট বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে দেশব্যাপী পাঁচ শতাধিক জায়গায় সিরিজ বোমা হামলা চালানো হয়। তারপর থেকে দিনটি সিরিজ বোমা হামলার প্রতিবাদ দিবস হিসেবে পালন করে আসছে আওয়ামী লীগ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।