সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ব্যয় সংকোচনের নির্দেশনা থাকছে অর্থমন্ত্রীর বাজেট বক্তৃতায়। অহেতুক, অপ্রয়োজনীয় ব্যয় পরিহারের নির্দেশনাসহ তৈরি করা হচ্ছে ২০২০-২১ অর্থবছরের নতুন বাজেট। নতুন অর্থবছরে সরকারের পরিচালনা ব্যয় সংকোচনের মধ্যে রাখার পরিকল্পনা চলছে।
জানা গেছে, অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল তার এবারের বাজেট বক্তৃতায় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রতি ব্যয় কমানোসহ যেসব নির্দেশনা দেবেন সেসব নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে-
১. সরকারি চাকরিজীবীদের বিদেশ ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করা হবে। খুব জরুরি না হলে আগামী বছর সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যেকোনও প্রোগ্রামে অংশ নিতে বিদেশে যেতে পারবেন না। যদি যেতেই হয় তাহলে যাওয়ার গুরুত্ব বোঝাতে হবে। রাষ্ট্রের স্বার্থ থাকতে হবে। এছাড়া সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিদেশ ভ্রমণের অনুমতি বা জিও ছাড় করার আগে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে খুঁটিনাটি বিষয় অধিকতর সতর্কতার সঙ্গে দেখে জিও ছাড় করার পরামর্শ থাকতে পারে।
২. অহেতুক ও অপ্রয়োজনীয় কেনাকাটা বন্ধ রাখতে হবে। যেসব জিনিসপত্র কিনতে হবে তা ব্যবহারের ক্ষেত্রে গুরুত্ব থাকতে হবে। একই সঙ্গে কিনতে হলে তা সঠিক পরিমাণ মতো হতে হবে। কোনও ধরনের অপচয় করা যাবে না।
৩. সরকারি সভা সেমিনারের সংখ্যা কমিয়ে আনতে হবে। অনুষ্ঠিত সভা-সেমিনারের আপ্যায়ন খরচ কমাতে হবে। অপ্রয়োজনীয় আপ্যায়ন ব্যয় পরিহার করতে হবে। সভা সেমিনারে অংশগ্রহণকারীদের সংখ্যাও কমাতে হবে। এ ছাড়াও অংশগ্রহণকারীদের সম্মানী ভাতার হার আগের তুলনায় কমিয়ে আনারও চেষ্টা চলছে বলে জানা গেছে।
৪. সরকারি কাজে ব্যবহৃত মেশিনপত্র, বিশেষ করে ফটোকপি মেশিন, প্রিন্টার, পানির ফিল্টার, ফ্রিজ, টেলিভিশন অতি প্রয়োজন না হলে নতুন কেনা যাবে না। আগের কেনা এসব জিনিসপত্র যত্নের সঙ্গে ব্যবহার করতে হবে। মেশিনপত্রসহ আসবাবপত্র নষ্ট হলে তা কম খরচে মেরামতের ব্যবস্থা করতে হবে।
৫. ইতোমধ্যে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়কে মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন ডকুমেন্টসহ বিভিন্ন মুদ্রণ কাজ কমিয়ে আনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অপ্রয়োজনীয় মুদ্রণ পরিহার করতে হবে। প্রয়োজনের বেশি মুদ্রণ করা যাবে না। যা মুদ্রণ করা হবে তার যথাযোগ্য ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।
এ প্রসঙ্গে পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান জানিয়েছেন, সরকার অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে বাজেট তৈরি করছে। যা আগামী ১১ জুন জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করবেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। নতুন বছরের জন্য ২ লাখ ৫ হাজার কোটি টাকার বেশি এডিপি চূড়ান্ত করেছে এনইসি। করোনার প্রেক্ষাপটে তৈরি করা বাজেটটি অবশ্যই জনবান্ধব হবে এটি আমার বিশ্বাস। এখানে সমাজের নিম্ন আয়ের মানুষরা এবারের বাজেটে উপকৃত হবেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।