জুমবাংলা ডেস্ক : টাকার বিনিময়ে মামলার অভিযোগপত্র থেকে নাম বাদ দেওয়া হবে- আসামির সঙ্গে এমন ফোনালাপের অডিও ক্লিপ ফাঁস হওয়ার পর রাজশাহীর এক ছাত্রদল নেতাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
অব্যাহতি পাওয়া ওই ছাত্রদল নেতার নাম সাইমন রেজা। তিনি নগরীর বোয়ালিয়া (পূর্ব) থানা ছাত্রদলের একজন নেতা ছিলেন।
শুক্রবার রাতে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সাইমনকে অব্যাহতির কথা জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হলো। ছাত্রদল সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির এই সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাজশাহী মহানগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার মাকসুদুর রহমান সৌরভ সাতটি অডিও ফাঁস করেন ফেসবুকে। যেখানে সাইমন রেজার মতো হুবহু কণ্ঠের একজনকে আসামির কাছ থেকে টাকা চাইতে শোনা যায়।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনায় সাইমন রেজা গত ২৭ অক্টোবর বোয়ালিয়া থানায় একটি মামলা করেন। এ মামলায় পায়েল নামের আরেক আসামি আছেন, যিনি আওয়ামী লীগ কর্মী ও পুলিশের সোর্স হিসেবে পরিচিত। দাবি করা হচ্ছে, এই পায়েলের কাছেই টাকা চেয়েছেন সাইমন।
মহানগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার মাকসুদুর রহমান সৌরভ বলেন, পায়েল পুলিশের সোর্স ছিল। তার বিরুদ্ধে মামলা করা যেতেই পারে। কিন্তু কেউ টাকা আদায় করতে পারেন না। সাইমন কয়েকজনকে নিয়ে একটা সিন্ডিকেট করে এভাবে টাকা আদায় করছিলেন। এতে দলের বদনাম হচ্ছিল। এ জন্য কেন্দ্রকে অবহিত করে আমি অডিও ফাঁস করি। এরপর কেন্দ্র ব্যবস্থা নিয়েছে।
অব্যাহতি পাওয়া ছাত্রদল নেতা সাইমন রেজা বলেন, কেন্দ্র আমার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে আমার মন খারাপ না। কারণ আমি পদ-পদবীর জন্য রাজনীতি করি না। পদে না থাকলেও আমি ছাত্রদলের কর্মী হয়ে থাকব।
তিনি দাবি করেন, ওই অডিওগুলো ভুয়া। তার নাম ও ছবি ব্যবহার করে হোয়াটসঅ্যাপ খুলে কেউ এই কাজটা করেছেন। এ ব্যাপারে তিনি থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করবেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।