জুমবাংলা ডেস্ক : যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল এমপি বলেছেন, যতদিন শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের রক্ত আমাদের দেহে আছে, কোনো অন্যায় আমরা করবো না। উনার আদর্শের কর্মীরা দলের সঙ্গে কখনও বেঈমানি করবে না।
সোমবার (০৯ নভেম্বর) বিকেলে চেরাগআলীতে টঙ্গী থানা আওয়ামী লীগ আয়োজিত বাবার ৭০তম জন্মদিনের স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারকে হত্যার মাধ্যমে বিএনপি-জামাত সরকারের ঘাতকরা ভেবেছিল গাজীপুর থেকে আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করে ফেলবে। কিন্তু তারা বুঝতে পারেনি, প্রতিটি ঘরে ঘরে এক একজন আহসান উল্লাহ মাস্টারের আদর্শের কর্মী জন্ম নিয়েছে।
তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর ৯৬ সালের নির্বাচনে শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার বিজয়ী হয়ে প্রায় ২১ বছর পর গাজীপুরকে আওয়ামী লীগের ঘাটি হিসেবে গড়ে তুলেছেন। এ ঘাঁটিকে দয়া করে বিরোধে জড়িয়ে কেউ নষ্ট করবেন না। আলোচনার মাধ্যমে আমরা সব সমস্যার সমাধান করবো।
টঙ্গী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হকের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও আহসান উল্লাহ মাস্টারের ভাই মতিউর রহমান মতি, সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ মহিউদ্দিন মহি, মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক রাসেল সরকার, কাউন্সিলর গিয়াস উদ্দিন সরকার প্রমুখ। পরে প্রয়াত এই সাংসদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
১৯৫০ সালের ৯ নভেম্বর হায়দরাবাদ গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন এই শ্রমিক নেতা। ২০০৪ সালের ৭ মে টঙ্গীর নোয়াগাঁও এমএ মজিদ মিয়া উচ্চবিদ্যালয় মাঠে এক জনসভায় প্রকাশ্যে দিবালোকে গুলি করে তাঁকে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।