জুমবাংলা ডেস্ক : ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির ১৭০ নেতাকর্মীর নামে মামলা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও আড়াই থেকে তিন হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) বিকালে আলফাডাঙ্গা থানার ওসি হারুন-অর রশীদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। ১৫ জানুয়ারি বুধবার রাতে পৌরসভার বুড়াইচ পূর্বপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ইদ্রিস সর্দারের ছেলে লাভলু সর্দার বাদী হয়ে আলফাডাঙ্গা থানায় এ মামলা করেন। লাভলু সর্দার পেশায় একজন ভ্যানচালক।
এ মামলায় বৃহস্পতিবার রাতে এজাহারভুক্ত ২০ নম্বর আসামি ইকবাল জিহাদকে (৪০) গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। ইকবাল জিহাদ পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সহ-সভাপতি ও ইছাপাশা গ্রামের তফসির উদ্দীন শেখের ছেলে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ১৩ আগস্ট শেখ হাসিনা দেশে ফিরছেন এমন খবরে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত আসামিরা আগ্নেয়াস্ত্র ও বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আলফাডাঙ্গা সদর বাজারের চৌরাস্তায় যানবাহন ভাঙচুর করে দাঙ্গা-হাঙ্গামা সৃষ্টি করে এবং ককটেল, হাতবোমা বিস্ফোরণ ঘটায়। এছাড়া আসামিরা বিএনপির নেতাকর্মীদের খুন-জখমের হুমকি দেন বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
এদিকে গ্রেফতার ইকবাল জিহাদের পরিবারের দাবি, তিনি বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। বর্তমানে তিনি জাতীয়তাবাদী যুবদলের আলফাডাঙ্গা পৌর শাখার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
মামলার এজাহারে উল্লেখযোগ্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- আলফাডাঙ্গা পৌরসভার সাবেক মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সাইফার, বোয়ালমারী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এমএম মোশাররফ হোসেন মুসা মিয়া, আলফাডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলীম সুজা, আলফাডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ইকবাল হাসান চুন্নু, সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সিদ্দিকুর রহমান, বহিষ্কৃত পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফ আলী বাশার, গোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ইনামুল হাসান, উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক হাসমত হোসেন তালুকদার তপন, আলফাডাঙ্গা প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি এনায়েত হোসেন, দৈনিক ঢাকা টাইমসের উপজেলা প্রতিনিধি রিয়াজ মুস্তাফিজ, দৈনিক কালবেলার আলফাডাঙ্গা উপজেলা প্রতিনিধি ও আওয়ামী নেতা তারিকুল ইসলাম, টগরবন্দ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী কামরুল, আওয়ামী লীগ কর্মী মোরাদ হোসেন, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি কাজী কাওছার হোসেন টিটো, আলফাডাঙ্গা পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি রায়হান আজিজসহ আওয়ামী লীগ, কৃষক লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ১৭০ নেতাকর্মী।
আলফাডাঙ্গা থানার ওসি হারুন-অর রশীদ জানান, বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে থানায় একটি মামলায় হয়েছে। মামলার এজাহারভুক্ত এক আসামিকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।