ক্রিকেটে দর্শকদের সবচেয়ে বেশি টানে রান। আর রান করার সবচেয়ে বড় মাধ্যম ছক্কা হাঁকানো। অথচ সাউথউইক ও শোরহাম ক্রিকেট ক্লাবের ক্রিকেটারদের ছক্কা মারা নিষেধ। বিশেষ এক কারণে ইংল্যান্ডের অন্যতম পুরোনো কাউন্টি ক্লাবটি তার ক্রিকেটারদের এমন নির্দেশনা দিয়েছে।
ছক্কা মারা শুধু নিষেধই নয়, খেলোয়াড়দের জন্য শাস্তির বিধানও রেখেছে ক্লাব কতৃপক্ষ। তাদের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, প্রথমবার ছক্কা মারলে সেটি রান হিসেবে বিবেচনা করা হবে না। দ্বিতীয়বার মারলে সেটি আউট বলে বিবেচিত হবে।
ক্লাবটি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাদের মাঠের আশে-পাশে বসবাস করা প্রতিবেশীদের অভিযোগের কারণে। ক্লাবের মাঠটি তুলনামূলক ছোট, তাই ছক্কা মারলে আশপাশে থাকা বাড়ির জানালা ও গাড়ির কাচ ভেঙে যায়। ম্যারি গিল নামের ৮০ বছর বয়সী এক প্রতিবেশীর সঙ্গে কথা হয় ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম মেইল অনলাইনের।
তিনি মেইলকে বলেন, ‘মাঠটি খুবই ছোট। আমার আগে এই বাড়িতে আমার মা–বাবা, দাদা-দাদি থাকতেন, তখন প্রায়ই ক্রিকেট বল উড়তে আসত, ক্ষতি করত। ১৯৪০ সালের কথা, আমার ছোট ভাই তখন বাসার বাইরে বাগানে ছিল। আমার মা এসে দেখে যে দোলনায় তাকে রাখা হয়েছিল, সেখানে একটি বল খুঁজে পেয়েছে। বছরের পর বছর ধরে আমাদের ছাদের টাইলস ভেঙেছে, জানালা ভেঙেছে, আরও অনেক ক্ষতি হয়েছে।’
ক্লাবটির এমন অদ্ভুত নিয়মে অসন্তুষ্ট ক্রিকেটাররা। ক্লাবের একজন ব্যাটার বলেন, ‘বোলারকে ছক্কা মারা খেলার গৌরবের একটি অংশ। আপনি সেটাকেই কীভাবে নিষিদ্ধ করে দেন? এটা হাস্যকর। এটাকে সরিয়ে দিয়ে খেলাটার আনন্দটাকেই দূরে সরিয়ে রাখছেন। এই নিয়মটা এভাবে বদলানোর সঙ্গে আমি একমত নই।’
আরেকজন ক্রিকেটার জানান, ‘আপনি যদি ক্রিকেট গ্রাউন্ডের পাশে বাড়ি কেনেন, আপনার বাড়ির বাগানে কিছু বল এসে পড়বে, সেটা মানতে হবে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।