স্পোর্টস ডেস্ক : হারটা প্রায় অবধারিত ছিল। হার ঠেকাতে পুরো দুই দিন কাটিয়ে দেওয়ার চ্যালেঞ্জ ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার। হাতে অক্ষত ছিল দশ উইকেট। কিন্তু একদিনও টিকতে পারেনি প্রোটিয়ারা। ইংল্যান্ড পেসারদের তোপের মুখে দ্বিতীয় ইনিংসে স্বাগতিক শিবির গুটিয়ে গেছে তিন শর আগেই। ইংলিশরা জিতেছে ১৯১ রানের বিশাল ব্যবধানে।
তাতেই ১০৬ বছরের ইতিহাসে নতুন কীর্তি হলো ইংল্যান্ডের। দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে এক সিরিজে দুটির বেশি টেস্ট জিতেছে ইংলিশরা। ঠিক উল্টো অবস্থা প্রোটিয়াদের। সাত দশক পর ঘরের মাঠে পরপর দুই সিরিজে হেরেছে তারা। ব্যাটসম্যানদের বাজে পারফরম্যান্সই এমন বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখোমুখি করল।
চার ম্যাচের সিরিজের প্রথম টেস্টে জিতেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। এরপর দারুণভাবেই ঘুরে দাঁড়িয়েছে ইংল্যান্ড। জিতল টানা তিন টেস্ট। জোহানেসবার্গ টেস্ট ছিল প্রোটিয়াদের জন্য সমতায় ফেরার উপলক্ষ্য। কিন্তু সিরিজে ড্র করতে ইতিহাস গড়তে করতে হতো তাদের। চতুর্থ ইনিংসে জিততে হতো ৪৬৬ রান করে।
স্বাভাবিকভাবেই পারেনি ফ্যাফ ডু প্লেসির দল। দ্বিতীয় ইনিংসে তারা গুটিয়ে গেছে ২৭৪ রানে। প্রথম ইনিংসে ১৮৩ রানে অল আউট হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। অন্যদিকে প্রথম ইনিংসে ৪০০ রান করে তারা। ইংলিশরা দ্বিতীয় ইনিংসে তোলে ২৪৮ রান।
সোমবার পাহাড়সম লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করে দক্ষিণ আফ্রিকা। স্বাভাবিকভাবেই অলৌকিক কিছু করতে পারেনি তারা। তবে একপ্রান্ত আগলে রেখেছিলেন ফন ডার ডুসেন। শেষ পর্যন্ত তাকে ফিরে আসতে হয়েছে শতক হাতছাড়া হওয়ার আক্ষেপ নিয়ে। ৯৮ রানে আউট হন তিনি।
তাকিতের কেউ হাফসেঞ্চুরির ধারেকাছেও যেত পারেননি। পিটার মালান ২২, ডিন এলগার ২৪, ফ্যাফ ডু প্লেসি ৩৫, কুইন্টন ডি কক ৩৯, ও টেম্বা বাভুমা ২৭ রানে আউট হন। প্রত্যেকেই আউট হয়েছেন উইকেট থিতু হওয়ার পর। দুই ইনিংস মিলিয়ে নয় উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছেন মার্ক উড। তবে সিরিজ সেরা হয়েছেন বেন স্টোকস।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।