জুমবাংলা ডেস্ক : বহুল আলোচিত দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটের ইউএনও ওয়াহিদা খানমের ওপর হামলা ও হত্যা চেষ্টার ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক যুবলীগ নেতা ওয়াকার আহম্মেদ নান্নুকে চাঁদাবাজি, হত্যার হুমকি ও শ্লীলতাহানিসহ বিভিন্ন অভিযোগের দুটি মামলায় গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। একই সময় মেডিকেল টেস্টে মাদক সেবনের প্রমাণ মেলায় তাকে এক বছরের সাজা দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
মঙ্গলবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত নান্নু ঘোড়াঘাট পৌর যুবলীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করছিলেন। তিনি ঘোড়াঘাট পৌর এলাকার খোদাদাতপুর গ্রামের মৃত শাহাবুদ্দিন খানের ছেলে।
এর আগে গত সোমবার সন্ধ্যায় তাকে এক বছরের কারাদণ্ড প্রদান করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাফিউল আলম।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ওয়াকার আহম্মেদ নান্নুসহ অজ্ঞাত ৫-৬ জন শ্যামপুর কলেজপাড়া গ্রামের বিমুল টুডুর স্ত্রী শ্রীমতি আনলীর বাড়িতে গিয়ে দেড় লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। এ সময় চাঁদা না দেওয়ায় ওই সংখ্যালঘু নারীর চুলের মুঠি ধরে মারধর করে এবং পরনের কাপড়চোপড় ছিড়ে শ্লীলতাহানি ঘটায়। এছাড়া রাতের আঁধারে গাছ কেটে নিয়ে যাওয়ার এবং পুলিশকে জানালে বাড়িতে পেট্রোল ঢেলে সকলকে পুড়িয়ে মারার হুমকি দেয়। পরে ওই নারী বাদী হয়ে থানায় এজাহার দায়ের করেন।
আরেকটি এজাহারে দেখা যায়, পৌর এলাকার চকবামুনিয়া বিশ্বনাথপুর গ্রামের মৃত তৈয়ব আলী মুন্সির ছেলে অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক আমির হোসেন গাইবান্ধার চর এলাকা থেকে উঠে এসে এই এলাকার কিছু জমি কবলা খরিদ করে বসবাস করছেন। সেখানে যুবলীগ নেতা নান্নুসহ ৬ জন গিয়ে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদার টাকা না দেওয়ায় সংঘবদ্ধ চক্রটি রড ও বাঁশ দিয়ে ওই স্কুল শিক্ষককে বেধড়ক মারধর এবং বিভিন্ন ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। পরে স্কুল শিক্ষক আমির হোসেন বাদী হয়ে ৬ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় এজাহার দায়ের করেন।
মামলা ও গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে ঘোড়াঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আজিম উদ্দিন বলেন, নান্নুর বিরুদ্ধে ঘোড়াঘাট থানায় চাঁদাবাজি ও ভূমি দখলের বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে। নতুন করে তার নামে আরও দুটি মামলা দায়ের করেছে ভুক্তভোগীরা। চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অভিযোগে নতুন দুটি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে মঙ্গলবার তাকে দিনাজপুর জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়া তাকে গ্রেফতারের পর মেডিকেল টেস্টে মাদক সেবনের প্রমাণ পাওয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালত সাজা প্রদান করেছেন।
প্রসঙ্গত, বহুল আলোচিত ইউএনও ওয়াহিদা খানমের ওপর হামলা ও হত্যা চেষ্টার ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য যুবলীগ নেতা ওয়াকার আহম্মেদ নান্নুকে আটক করেছিল পিবিআই। তখনই এলাকা জুড়ে বেশ সমালোচিত হয় যুবলীগের এই নেতা।
Own the headlines. Follow now- Zoom Bangla Google News, Twitter(X), Facebook, Telegram and Subscribe to Our Youtube Channel