আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পোল্যান্ড বলেছে, দেশটি তার যুদ্ধবিমানগুলোকে ইউক্রেনের কাছে হস্তান্তর করবে না এবং পোল্যান্ডের বিমানবন্দরগুলিকেও ইউক্রেন যুদ্ধ ব্যবহার করতে দেবে না। পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর গতকাল (রোববার) এক টুইটার বার্তায় একথা জানিয়েছে বলে ইউরোনিউজ খবর দিয়েছে। খবর পার্সটুডে’র।
র্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন গতকালই (রোববার) মোলদোভা সফরে গিয়ে বলেছিলেন, তার দেশ পোল্যান্ডের যুদ্ধবিমানগুলোকে ইউক্রেনের কাছে হস্তান্তর করার জন্য ওয়ারশ’র সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষরের আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
তার এ বক্তব্যের আগে মার্কিন গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছিল, ওয়াশিংটন ওয়ারশ’র সঙ্গে যে চুক্তি স্বাক্ষরের চেষ্টা করছে তার খসড়ায় বলা হয়েছে, পোল্যান্ডের কাছে থাকা সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নে তৈরি মিগ-২৯ যুদ্ধবিমানগুলোকে ইউক্রেনের কাছে হস্তান্তর করা হবে। ইউক্রেনের পাইলটদের এই যুদ্ধবিমান পরিচালনার কৌশল রপ্ত থাকায় তারা স্বাচ্ছন্দে তাৎক্ষণিকভাবে এগুলো রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে ব্যবহার করতে পারবে। এর বিনিময়ে আমেরিকা পোল্যান্ডকে এফ-১৬ জঙ্গিবিমান দেবে যেগুলো পরিচালনার জন্য প্রশিক্ষণের প্রয়োজন হবে যা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার।
কিন্তু পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে প্রকাশিত টুইটার বার্তায় বলা হয়েছে, “পোল্যান্ড তার জঙ্গিবিমানগুলোকে ইউক্রেনে পাঠাবে না। তবে আমরা অন্যান্য ক্ষেত্রে ইউক্রেনকে উল্লেখযোগ্য মাত্রায় সহযোগিতা করব।”
ইউক্রেন সরকার রাশিয়ার সামরিক অভিযানের মুখে আত্মরক্ষা করার জন্য পাশ্চাত্যের কাছে যুদ্ধবিমানসহ অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম চেয়েছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বিশেষভাবে পূর্ব ইউরোপের দেশগুলোর কাছে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নে তৈরি যুদ্ধবিমান চেয়েছেন। কারণ, ইউক্রেনের পাইলটরা এখনই এসব যুদ্ধবিমান ব্যবহার করার যোগ্যতা রাখে।
রাশিয়া গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ চালানোর ঘোষণা দেয়।মস্কো ঘোষণা করে, এই সামরিক অভিযানের অর্থ যুদ্ধ নয় বরং বিশ্বব্যাপী একটি সম্ভাব্য যুদ্ধ প্রতিহত করার লক্ষ্যে এই সামরিক অভিযান চালানো হচ্ছে। তবে ইউরোপীয় ও মার্কিন সংবাদ মাধ্যমগুলো রাশিয়ার এ ঘোষণার একাংশ প্রকাশ করে জানায়, কিয়েভের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক যুদ্ধ ঘোষণা করেছে মস্কো। এরপর রাশিয়ার বিরুদ্ধে তীব্র অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক চাপ সৃষ্টি করে পশ্চিমা দেশগুলো।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।