আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইউরোপে বড় বড় প্রতিষ্ঠানের সস্তা মুরগির মাংসে উচ্চমাত্রার অ্যান্টিমাইক্রোবায়াল রেজিসট্যান্ট প্যাথোজেন রয়েছে৷ জার্মানওয়াচের গবেষণা প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এই তথ্য৷ মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) এ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান জার্মানওয়াচ৷ খবর: ডয়চে ভেলে।
জার্মানি, ফ্রান্স, পোল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস এবং স্পেনের আলদি, লিডল এবং আরও কিছু মুরগির মাংস উৎপাদন ও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের মাংস পরীক্ষা করে তাতে এই বিশেষ ধরনের প্যাথোজেন পাওয়া গেছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে৷
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ডিসকাউন্ট বা বিশেষ মূল্যছাড়ে যেসব মাংস বিক্রি হয় মূলত সেগুলোতেই মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ানো উপাদানটি বেশি রয়েছে৷
গবেষকেরা জানান, এমন বিষাক্ত মাংস বেশি উৎপাদন করছে জার্মানির পিএইচডাব্লিউ গ্রুপ৷ প্রতিষ্ঠানটি প্রতি সপ্তাহে গড়ে ৪৫ লাখ মুরগির মাংস উৎপাদন করে৷ জার্মানির পিএইচডাব্লিউ গ্রুপের পরেই রয়েছে ফ্রান্সের এলডিসি গ্রুপ এবং নেদারল্যান্ডসের পুলকন ফুড গ্রুপ৷
পিএইচডাব্লিউ গ্রুপের শতকরা ৫৯ ভাগ, এলডিসি গ্রুপের ৫৭ ভাগ এবং পুলকন ফুড গ্রুপের ৩৬ ভাগ নমুনায় উচ্চমাত্রার অ্যান্টিমাইক্রোবায়াল রেজিসট্যান্ট প্যাথোজেন পাওয়ার কথাও জানিয়েছেন গবেষকরা৷
উচ্চমাত্রার অ্যান্টিমাইক্রোবায়াল রেজিসট্যান্ট প্যাথোজেন রয়েছে এমন মাংস স্পর্শ করলে বা খেলে মানুষের দেহে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে৷ তাছাড়া সংক্রমণ সারাতে ব্যবহার্য অ্যান্টিবায়োটিককে অকার্যকর করে অ্যান্টিমাইক্রোবায়াল৷
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লিউএইচও)-র তথ্য অনুযায়ী, সিআইএ এইচপি, অর্থাৎ ক্রিটিক্যালি ইমপর্ট্যান্ট অ্যান্টিমাইক্রোবায়াল মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য খুব দরকারি৷ সংক্রমণ সারাতে আর সব অ্যান্টিবায়োটিক যখন ব্যর্থ হয় তখন কাজে লাগে এই গ্রুপের অ্যান্টিবায়োটিক৷ জার্মানওয়াচের পরীক্ষা করা শতকরা ৩৫ ভাগ মাংসেই সিআইএ এইচপি ছিল৷
গবেষকরা মনে করেন, মুরগির মাংস উৎপাদনে ইউরোপের দেশগুলোতে অভিন্ন আইন হলে মুরগির মাংসের বাজার অ্যান্টিমাইক্রোবায়াল রেজিসট্যান্ট প্যাথোজেনমুক্ত হতে পারে৷
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।