স্পোর্টস ডেস্ক : পাকিস্তানে জন্মানো এ যাবৎকালের সেরা ওয়ানডে ক্রিকাটার কে? এই ফরমেটে পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ইনজামামের নামই আগে আসার কথা। আসতে পারে মোহাম্মদ ইউসুফ, ওয়াসিম আকরাম ও ওয়াকার ইউনিসের নামও। জাভেদ মিয়াঁদাদ, ইমরান খান, ইউনিস খানও এ দৌঁড়ে পিছিয়ে থাকার কথা নয়। তবে পাকিস্তানের সেরা ক্রিকেটার হিসেবে তাদের কারো নাম বললেন না পাকিস্তান ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ইনজামাম-উল হক।
তার মতে পাকিস্তানের সেরা ওয়ানডে ক্রিকেটার সাঈদ আনোয়ার। অন্যরাও নাকি তার মতো ব্যাট করতে চাইতেন। ইনজামাম বলেন, আমরা রাতে ঘুমিয়ে যেভাবে ব্যাট করার স্বপ্ন দেখতাম সকালে উঠে দেখতাম তিনি সেভাবে ব্যাট করছেন। পাক প্যাশন নামে এক ইউটিউব ভিডিওতে তিনি এসব কথা বলেন।
সাঈদ আনোয়ার পাকিস্তানের হয়ে ২৪৭টি ওডিআই খেলে করেন ৮৮২৪ রান। এ পথে ২০ সেঞ্চুরি ও ৪৩টি হাফসেঞ্চুরি হাঁকান তিনি। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে তার ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস ১৯৪। ১৯৯৭ সালে চেন্নাইয়ে ভারতের বিপক্ষে এ রান করেন তিনি, যা দীর্ঘদিন একদিনের ক্রিকেটে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড ছিল।
নিজের জনপ্রিয় ইউটিউব চ্যানেলে ইনজামাম বলেন, সাঈদ যেরকম ব্যাটিং করতেন, আমরা সবাই সেরকম করার ইচ্ছা পোষণ করতাম। রাতে আমরা যেসব শট স্বপ্নে দেখতাম, সকালে সেসব খেলতেন উনি।
ইনজি বলেন, লোকজন বলতেন, পাকিস্তান ক্রিকেট ইতিহাসে সব ব্যাটসম্যানের মধ্যে আমার প্রতিভা ছিল বেশি। কিন্তু সেই তুলনায় আমি বিচ্ছুরণ ঘটাতে পারিনি। কিন্তু আমি বিশ্বাস করি, সাঈদের যে ক্রিকেটীয় মেধা ছিল, তা অন্য কারো নেই বা ছিল না।
তিনি বলেন, যখন আনোয়ার ব্যাট করতেন, তখন মনে হতো ক্রিকেট কত সহজ। যেন বল সিম বা সুইং-ই করে না। যখন তার সঙ্গে ক্রিজে থাকতাম, তখন তা উপভোড়গ করতাম। উনি সবসময় বোলারদের চাপে রাখতেন এবং নিজে আধিপত্য বিস্তার করে খেলতেন।
সাবেক পাক প্রধান নির্বাচক বলেন, আমি মনে করি না, পাকিস্তানে এরকম ব্যাটসম্যান ছিল বা আছে। দেশের সর্বকালের সেরা ব্যাটার সাঈদ। ইনজুরি মুক্ত থাকলে যার দলে থাকা নিশ্চিত ছিল।
সাবেক সতীর্থের উচ্চ প্রশংসা করলেও পাকিস্তান ক্রিকেট ইতিহাসে ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ রান ইনজামেরই। বর্ণিল ক্যারিয়ারে ১১,৭৩৯ রান সংগ্রহ করেন ডানহাতি ব্যাটসম্যান। দেশের হয়ে ১০,০০০ রান অতিক্রম করা একমাত্র ব্যাটার তিনিই। তথ্যসূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।