ইনসমনিয়ার কারণ, প্রতিকারের উপায়

লাইফস্টাইল ডেস্ক : রাতের ঘুম ঠিকঠাক না হলে সারা দিনটাই মাটি। কাজ করতে বসে হাইয়ের পর হাই উঠছে। মাথা ঝিমঝিম। কাজে মনও নেই। মাথা ফাঁকা। এই অবস্থা যাদেরই হয় তারা বোঝেন। তবে বাড়ি ফিরেই ঘুমিয়ে নেবেন ভাবলেও আবার দেখা যায় যে কে সেই। কিছুতেই ঘুম আসছে না। ঘুম বিশেষজ্ঞরা জানান, এটা একটা অসুখ, যার নাম ইনসোমনিয়া।

যেসব কারণে ইনসোমনিয়া হতে পারে

-মানসিক সমস্যা; যেমন- উদ্বেগ, পোস্ট-ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিসঅর্ডার, বিষণ্নতা।

-অনেক সময় নানা ধরনের ওষুধ ঘুমে হারাম করতে পারে; যেমন- অ্যাজমা বা রক্তচাপের ওষুধ, ব্যথার ওষুধ, অ্যালার্জি এবং ঠাণ্ডাজরিত রোগের ওষুধ।

-ক্যাফেইন, নিকোটিন এবং অ্যালকোহল সেবনে ঘুম না ধরতে পারে।

-স্মার্ট ডিভাইসের কারণেও ঘুমের ব্যাঘাত ঘটতে পারে।

ইনসোমনিয়ার কারণে যা হতে পারে

-কর্মস্থলে ভালোভাবে কাজ করতে পারবেন না।

-গাড়ি চালানোর সময় দুর্ঘটনার উচ্চ ঝুঁকি।

-মানসিক স্বাস্থ্যের ব্যাধি; যেমন-বিষণ্নতা।

-উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগের মতো দীর্ঘমেয়াদী রোগ বাঁধাতে পারেন।

– নারীদের মাসিক চক্রের সময় এবং মেনোপজের সময় হরমোনের পরিবর্তন হতে পারে।

ইনসোমনিয়ার হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায়

-একটি ভালো ঘুমের অভ্যাস ইনসোমনিয়ার হাত থেকে আপনাকে বাঁচাতে পারে। মনে করে একই সময় ওষুধ খাওয়ার মতো, এই ঘুমের অভ্যেসও ওষুধের মতোই কাজ করতে পারে।

– প্রতিদিনের ঘুমানোর সময় এবং জেগে ওঠার সময় ঠিক করে মেনে চলুন। বেডরুম যেন আলুথালু না থাকে। পরিষ্কার চাদর, বালিশে ঘুমোনোর আয়োজন করুন। ঘর একেবারে অন্ধকার বা হালকা আলো আঁধারি থাকুক। কোনওরকম আওয়াজ বা অস্বস্তি যেন বেডরুমে না ঢোকে।

-নিয়মিত শরীর চর্চা করুন। সারাদিন উপযুক্ত পরিশ্রম না হলে সেই শক্তি ক্ষয় হয় না, শরীর ক্লান্ত হয় না। কিন্তু ঘুমোনোর জন্য একটু ক্লান্তি যে জরুরি। দিনে যদি অন্তত আধ ঘণ্টা হাঁটেন এবং আধ ঘন্টা ব্যায়াম, প্রাণায়াম বা যোগাসন করেন তাহলেই কিন্তু রাতে ভাল ঘুম হবে।

-রাতে শোয়ার আগে চা-কফি নয়। আরামদায়ক ঘুমের পরিবেশ তৈরি করুন।

-ফোন, ল্যাপটপ নিয়ে আগের মুহূর্ত অবধি নাড়াচাড়া করে গেলে একেবারেই ঘুম আসবে না। ঘুমোনোর তোরজোড় করার অন্তত ১৫ মিনিট আগে সমস্ত রকম গ্যাজেট দূরে সরিয়ে ফেলুন। এগুলো থেকে বের হওয়া রেডিয়েশন এবং স্ক্রিনলাইট ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়।

সূত্র: মায়ো ক্লিনিক