জুমবাংলা ডেস্ক: ঢাকার দুই সিটিতে ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। চলবে বিকাল চারটা পর্যন্ত।উত্তরে ১ হাজার ৩১৮ ও দক্ষিণে ১ হাজার ১৫০টি কেন্দ্রে এ ভোট হবে ইভিএমে।
একজন ভোটার খুব সহজেই নতুন এ পদ্ধতিতে যেভাবে ভোট দেবেন : নির্দিষ্ট কেন্দ্রের ভোটাররা ভোট দেওয়ার জন্য আঙ্গুলে ছাপ বা স্মার্ট কার্ড ব্যবহার করে নিজেকে ভোটার হিসেবে শনাক্ত করতে পারবেন। এ ছাড়া স্মার্ট কার্ড নম্বর, ভোটার নম্বর বা জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর জানা থাকলে তা ব্যবহার করে ভোটার শনাক্তকরণ করা যাবে। ভোটার ভেরিফিকেশনের মাধ্যমে বৈধ ভোটার হিসেবে শনাক্তকৃত ভোটার ইভিএমে ভোট দিতে পারবেন। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী, প্রথমে ভোটারকে সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার ভোটিং মেশিনের মাধ্যমে গোপন কক্ষে রক্ষিত ইলেকট্রনিক ব্যালট ইউনিটে তিনটি পদের তথা মেয়র, সাধারণ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত (নারী) কাউন্সিলর পদের ব্যালট ইস্যু করবেন।
ব্যালট ইউনিটে ব্যালট ইস্যু করার পর ভোটার গোপন কক্ষে প্রবেশ করে তার পছন্দের প্রার্থী ও প্রতীক দেখে তার ডান দিকের সাদা বোতাম চাপ দিয়ে সিলেক্ট করবেন এবং ওই ব্যালট ইউনিটের সবুজ রঙের CONFIRM বোতাম চেপে ভোট সম্পন্ন করবেন। এভাবে তিনটি প্যাডে তিন প্রার্থীকে ভোট দেওয়া সম্পন্ন করলেই সে ভোটটি গণনার উপযুক্ত হবে। কনফার্ম বোতামটি চাপার আগ পর্যন্ত চাইলেই প্রার্থী পরিবর্তন করে নেওয়া যাবে, সেজন্য ক্যানসেল বোতামটি চাপতে হবে বা পছন্দের প্রার্থীর পাশের বোতামটি চাপতে হবে। এভাবে দুবার সংশোধনের সুযোগ পাবেন ভোটার। তবে ভোট গ্রহণের সময় কোনো ত্রুটি-বিচ্যুতি দেখা দিলে প্রতিটি কেন্দ্রে নির্বাচন কমিশনের পক্ষে সশস্ত্র বাহিনীর দুজন সদস্যের কারিগরি টিম সহযোগিতা দেবে। এ ছাড়া থাকবে মোবাইল টিমও।
ভোট গণনা : বিকাল ৪টায় ভোটগ্রহণ শেষ হলে সব কক্ষের কার্ডসহ কন্ট্রোল ইউনিটসমূহের সহকারী প্রিসাইডিং অফিসারদের সহযোগিতায় প্রিসাইডিং অফিসার ভোট গণনার জন্য নির্ধারিত একটি কক্ষে নিয়ে আসবেন এবং একটি মেশিন থেকে কেন্দ্রভিত্তিক ফলাফল মুদ্রণ করবেন।
জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন (এনআইডি) অনুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাইদুল ইসলাম বলেছেন, ‘একজন ভোটারের ভোট দিতে ৪০ সেকেন্ড থেকে সর্বোচ্চ ১ মিনিট লাগার কথা।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।