ভারত সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেন রদ করার পরে জাতিসঙ্ঘে এসে গোড়া থেকেই নানা মঞ্চে কাশ্মির নিয়ে প্রচার চালাচ্ছেন ইমরান। কিন্তু রোববার ট্রাম্পের উপস্থিতিতে মোদি যে ভাবে কাশ্মির নিয়ে সুর চড়িয়েছেন, সন্ত্রাস প্রশ্নে পাকিস্তানকে আক্রমণ করেছেন, তাতে ইমরান আর বিশেষ সুবিধা করতে পারবেন না বলেই দাবি করছিলেন ভারতীয় কূটনীতিকেরা।
কিন্তু সোমবার ইমরানের সঙ্গে বৈঠকে ট্রাম্প বলেন, ‘‘আমি পাকিস্তানের উপরে ভরসা করি। আমি চাই কাশ্মিরে সবাই ভালো থাকুন। প্রধানমন্ত্রী মোদি ও প্রধানমন্ত্রী খানের সঙ্গে আমার সম্পর্ক ভালো। ওরা দু’জনেই যদি বলেন যে আমাদের একটা সমস্যা দূর করার আছে, তা হলে আমি সেটা করতে পারি।’’ একই সঙ্গে ট্রাম্পের দাবি, ‘‘আমি খুবই ভালো মধ্যস্থতাকারী।’’
এর আগে ইমরানের পাশে বসে ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, কাশ্মির নিয়ে মোদিই তাকে মধ্যস্থ হওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন। ভারত তার প্রতিবাদ করে জানিয়ে দেয়, কাশ্মির দ্বিপক্ষীয় সমস্যা। গোড়ায় নিজের অবস্থানে অনড় থাকলেও পরে মধ্যস্থ হতে চান না বলে মন্তব্য করেছিলেন ট্রাম্প।
হিউস্টনের মঞ্চে সন্ত্রাস প্রশ্নে নাম না করে পাকিস্তানকে তুলোধোনা করেন মোদি। ‘মৌলবাদী জঙ্গি’দের বিরুদ্ধে যৌথ লড়াইয়ের কথা বলেন ট্রাম্পও। কিন্তু সোমবার তিনি বলেন, ‘‘কাল ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণাত্মক মন্তব্য করতে শুনলাম। সেটা আশা করিনি।’’ তবে একই সঙ্গে তার মন্তব্য ‘‘ওই কথা শুনে ৫০ হাজার মানুষ খুশি হলেন।’’ কিন্তু মোদি তো ‘জঙ্গি ঘাঁটি’ হিসেবে পাকিস্তানের দিকে ইঙ্গিত করেছিলেন? ট্রাম্পের জবাব, ‘‘আমি ইরানকেই বেশি ইঙ্গিত করেছি।’’
ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্রের অবশ্য দাবি, এটা প্রত্যাশিতই ছিল। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তার মতে, ‘‘পাকিস্তানকে পুরোপুরি ছুড়ে ফেলা ট্রাম্পের পক্ষে সম্ভব নয়। মনে রাখতে হবে ট্রাম্প জানিয়েছেন যে দু’পক্ষ চাইলে তবেই তিনি সালিশি করবেন। ভারত যে রাজি নয় তা তিনি জানেন।’’ সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।