আন্তর্জাতিক ডেস্ক : জেনারেল সোলেইমানি হত্যার প্রতিশোধে ইরাকে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের দুটি বিমানঘাঁটিতে মঙ্গলবার গভীর রাতে ইরান ২২টি ক্ষেপণাস্ত্রের মাধ্যমে যে হামলা চালিয়েছে তা নিয়ে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ট ট্রাম্প।
ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স, পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওসহ শীর্ষ জেনারেলদের নিয়ে নির্ধারিত সময়ের ৩০ মিনিট পর ট্রাম্প বক্তব্য শুরু করে বলেন, ইরাকে সামরিক ঘাঁটিতে হামলার পর বোঝা যাচ্ছে যে, ইরান তার অবস্থান থেকে সরে আসছে। ইরানের হামলায় কোনো মার্কিন সৈন্য হতাহত হয়নি।
ভাষণে তিনি যতদিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট থাকবেন ততদিন ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্রের অধিকারী দেশ হতে দেবেন না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন। ভাষণের শুরুতেই ট্রাম্প বলেন, আমি যতদিন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট থাকব ততদিন ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন করতে দেব না।
তিনি বলেন, ইরান যদি পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের চেষ্টা বাদ দেয় এবং সন্ত্রাসের পথ ত্যাগ করে তাহলে শান্তি স্থাপনেও আমরা প্রস্তুত। যদি তারা শান্তির পথ বেছে না নেয় তাহলে দেশটির ওপর আরও কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, বুধবার ভোররাতে ইরাকে মার্কিন ঘাঁটিতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় কোনো সৈন্য মারা যায়নি, ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে খুবই সামান্য।
তবে হামলার বদলা নেয়ার কোনো হুমকি দেননি ট্রাম্প। ইরান যে নতুন কোনো হামলা চালানোর সম্ভাবনা নাকচ করেছে তাকে ইতিবাচক বলে বর্ণনা করে তিনি বলেন, তারা যে ক্ষান্ত দিয়েছে সেটা সবার জন্যই মঙ্গল।
একইসঙ্গে তিনি বলেন, ইরান একটি মহান দেশ হতে পারে, সে যোগ্যতা তাদের রয়েছে। আমাদের সবার এখন উচিত ইরানের সঙ্গে নতুন একটি চুক্তির চেষ্টা করা যাতে করে বিশ্ব নিরাপত্তা বাড়ে।
এদিকে ইরাক থেকে মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহারের যে দাবি ইরাকের পার্লামেন্ট করেছে, সে ব্যাপারে কোনো কথা বলেননি ট্রাম্প। তিনি বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের তেলের কোনো প্রয়োজন আমেরিকার নেই।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।