যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে দেশের শীর্ষ জেনারেল কাসেম সোলাইমানিকে হত্যার প্রতিশোধে ইরাকে অবস্থিত দুটি মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে ইরান। হামলায় অন্তত ৮০ জন মার্কিন সেনা নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে ইরান।
যদিও ইরানের এ দাবি অস্বীকার করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, ইরানের এ হামলায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। এক মার্কিন কর্মকর্তা আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এদিকে কাসেম সোলাইমানিকে হত্যার প্রতিশোধে এ হামলা হলেও ইরান কোনো যুদ্ধ চায় না বলে জানিয়েছে। হামলার বিপক্ষে আবার হামলা হলে যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ডে হামলার হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইরান।
যুক্তরাষ্ট্রের মতো সামরিক সর্বশক্তি সম্মত দেশের বিরুদ্ধে এমন হুমকি বর্তমানে আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে দাঁড়িয়েছে বিশেষজ্ঞদের কাছে। প্রশ্ন উঠেছে ক্ষেপণাস্ত্রের সক্ষমতায় ইরান কতটা সামর্থ্য?
ইরান কতদূর পর্যন্ত ক্ষেপনাস্ত্র হামলা চালাতে পারে-এমন একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, দেশটির ‘শাহাব-১’ নামের একটি ক্ষেপণাস্ত্র ৩০০ কিলোমিটার দূরে আঘাত হানতে পারে। ‘শাহাব-২’ আঘাত করতে পারে ৫০০ কিলোমিটার পর্যন্ত। ‘ক্বিয়াম-১’ ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত করতে পারবে সাড়ে ৩০০ কিলোমিটার দূরে। এ ছাড়া ‘ফতেহ-১১০’ নামের একটি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত করতে পারে ৩০০ থেকে ৫০০ কিলোমিটার জুড়ে। ৭০০ কিলোমিটার দূরত্বে আঘাত করতে পারে ‘জুলফিকার’।
ইরানের ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর মধ্যে বর্তমানে সবচেয়ে শক্তিশালী ‘শাহাব-৩’। এটি সবচেয়ে বেশি পরিসীমার ক্ষেপণাস্ত্রও। এর আঘাত পরিসীমা ২ হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত।
ইরান থেকে কাছে হলেও ইসরায়েলের দূরত্ব মাত্র ১৭০০ কিলোমিটার দূরে। সে হিসেবে শাহাব-৩’র আওতায় রয়েছে ইসরায়েলের পুরো এলাকা। ইরান বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে জোট বেঁধে ইসরায়েল যদি তাদের ভূখণ্ডে আঘাত করে তাহলে তাদেরও ছাড় দেয়া হবে না।
এছাড়া আফগানিস্তান, কাতার, বাহরাইন, কুয়েত, ইরাক, তুরস্ক এবং ইউরোপের রোমানিয়া, বুলগেরিয়া ও গ্রিসের মতো দেশেও যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ঘাঁটি রয়েছে। প্রতিটি দেশের জন্য ইরান তাদের ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন রেখেছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।