করোনাভাইরাস চীনের পর ইরানেও ভয়াল থাবা বসিয়েছে। দেশটিতে আইনপ্রণেতা থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ; কাউকেই ছাড় দেয়নি করোনা। এই মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে একশ ৪৩ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এনিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ৭৭ জনে। আর মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৭ হাজার ১৭ জনে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা কিয়ানুশ জাহানপুর বুধবার এই তথ্য জানিয়েছেন।
ইরানে করোনা হাজার হাজার মানুষের প্রাণ কেড়ে নিলেও দেশটির অধিকাংশ শহরের লকডাউন করনি সরকার। তবে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে অনেক আগেই। জনসামগমেও নিষেধ জারি করা হতে পারে দেশটিতে। দেশটির সবগুলো পার্ক বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা করা হয়েছে।
ইরানে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথে দেশটির স্বাস্থ্য বিভাগ, চিকিৎসা কেন্দ্র, চিকিৎসা বিজ্ঞানী ও গবেষক, জিহাদি ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো করোনা মোকাবেলায় সর্বশক্তি নিয়ে এগিয়ে এসেছে যাতে ব্যাপক প্রাণহানি থেকে মানুষকে রক্ষা করা যায়। পাশাপাশি ইরানের সেনাবাহিনী ও ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী আইআরজিসিও এ ক্ষেত্রে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
আইআরজিসি গিলান, কোম, বন্দর আব্বাস প্রদেশসহ আরো কয়েকটি প্রদেশে অস্থায়ী হাসপাতাল নির্মাণ করেছে যেখানে করোনা রোগে আক্রান্তদের চিকিৎসা দেওয়া হবে। আইআরজিসি ছাড়াও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী ও জিহাদি সংগঠন সারা ইরানের প্রত্যন্ত এলাকায় কাজ করছে। নিজস্ব উদ্যোগে তৈরি মাস্কসহ ভাইরাস প্রতিরোধী অন্যান্য দ্রব্যাদি প্রত্যন্ত এলাকায় পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। ইরানের সেনাবাহিনী তেহরানের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা এলাকায় ২০০০ বেডের অস্থায়ী হাসপাতাল নির্মাণ করেছে এ হাসপাতালের উদ্বোধনও করা হয়েছে।
এর আগে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ি গত রবিবার বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ ও সংকট মোকাবেলায় গত ৪০ বছরের অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করে বলেছেন, ‘সংকট মোকাবেলায় আমাদের সক্ষমতা রয়েছে এবং সর্বস্তরের মানুষকে এগিয়ে আসা উচিত।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।