জুমবাংলা ডেস্ক : মা ইলিশ রক্ষা অভিযান শেষে ভোলার মেঘনা-তেঁতুলিয়া নদীর অভয়াশ্রমে ব্যাপক ইলিশ ধরা পড়লেও এখন কিছুটা কমতে শুরু করেছে। তবে মৌসুমের বাকি সময় এমন ইলিশ ধরা পড়লে ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব মনে করেন জেলেরা। আর মোকামে আশানুরূপ দাম পাওয়ায় ভালো ব্যবসার আশা আড়ত মালিকদের। মৎস্য বিভাগ বলছে, আগামী একমাস এ হারে ইলিশ পাওয়া গেলে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি উৎপাদন হবে।
মেঘনায় রাতভর জাল ফেলে পাওয়া ইলিশ ভর্তি ঝুড়ি নিয়ে কাক ডাকা ভোরে ঘাটে ফিরছেন জেলেরা। তবে সপ্তাহখানেক আগে যে ট্রলারে ২৫ থেকে ৩০ হালি ইলিশ এসেছে তা কমে এখন ৫ থেকে ৭ হালিতে নেমে এসেছে। গত ৩০ অক্টোবর নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার পর থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়ায় জেলার অর্ধশতাধিক মাছ ঘাট জমজমাট হয়ে ওঠে। জেলেদের মতে, ২২ দিন নদী জাল শূন্য থাকায় প্রথম দিকে মাছ বেশি ধরা পড়েছে। যেসব ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে তার প্রায় অর্ধেকই ডিম ছাড়েনি। এতে নিষেধাজ্ঞার সময় নির্ধারণ নিয়েও মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে।
জেলেরা বলেন, অভিযানের পর যে মাছ পড়ছে তাতে তারা খুশি। কিন্তু এখন মাছ কম। এর মধ্যে নিষেধাজ্ঞা পড়লে জেলেরা দেনা দিতে পারবে না।
অভয়াশ্রমে কাঙ্ক্ষিত পরিমাণ ইলিশ ডিম ছেড়েছে উল্লেখ করে ইলিশ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হবে বলে জানান উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান।
তিনি বলেন, জোয়ারের সময় আসলে তিন-চারদিন পরে তখন ইলিশ আরও বাড়বে। আমাদের ইলিশ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হয়েছে।
জেলার প্রায় ১ লাখ ৩২ হাজার নিবন্ধিত জেলে প্রতিদিন ২৩ হাজার নৌকা ও ট্রলারে মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে মাছ শিকার করে।
সূত্র : সময়নিউজ
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।