স্পোর্টস ডেস্ক : শেষ রিংয়ে নেমেছিলেন সেই ২০০৫ সালে। এরপর একে একে কেটে গেছে ১৫ বছর। দেড় দশক পর আবারও মাইক টাইসনের সাধ হয়েছে বিশ্বকে দেখানোর, কেন তাঁকে ‘ব্যাডেস্ট ম্যান অন দ্য প্ল্যানেট’ বলা হয়
এক পাঞ্চে প্রতিপক্ষকে নক আউট করার ক্ষমতা রাখতেন তিনি। তার এই কীর্তি দেখেছে পুরো বিশ্ব। বক্সিংয়ের রিংয়ে যিনি অপ্রতিরোধ্য। তিনি মার্কিন পেশাদার বক্সার মাইক টাইসন।
সবশেষ রিংয়ে নেমেছিলেন সেই ২০০৫ সালে। এরপর কেটে গেছে ১৫ বছর। লম্বা সময় পর আবারো চিরচেনা রিংয়ে ফিরছেন মাইক টাইসন।
গেল কিছুদিন ধরে নিয়মিত অনুশীলনও করছেন টাইসন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনুশীলনের ছবিও প্রকাশ পেয়েছে। ১২ সেপ্টেম্বর আবারো পুরনো রূপে দেখা যাবে টাইসনকে। তার প্রতিপক্ষ হিসেবে থাকবেন আরেক সেরা বক্সার রয় জোন্স জুনিয়র। ক্যালিফোর্নিয়ার ডিগনিটি হেলথ স্পোর্টস পার্কে মুখোমুখি হবেন এই দুজন। এই লড়াই দেখতে অধীর অপেক্ষায় ভক্ত-সমর্থকরা।
তবে মজার খবর হলো, এই লড়াইয়ের আগে প্রস্তুতির অংশ হিসেবে নিজের দেহে ইলেকট্রিক মাসল সংযুক্ত করছেন মাইক টাইসন। তার মাসলের জয়েন্ট কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত, তাই এই ইলেকট্রিক মাসেলের সহায়তা নিচ্ছেন বলে টুইট করেছেন ক্রীড়া সাংবাদিক মিশেল বেনসন। মাসল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণেই টাইসন বক্সিং থেকে বিদায় নিয়েছিলেন বলেও টুইটে লেখেন তিনি।
তাই এবার নতুন এই ইলেকট্রিক মেশিনের সহায়তা নিয়েই রিংয়ে নামবেন ৫৪ বছর বয়সী টাইসন।
সবচেয়ে কম বয়সী বক্সার হিসেবে ১৯৮৬-তে হেভিওয়েট শিরোপা জিতেছিলেন টাইসন। ৫০টি জয়, ৬টি হার এবং ৪৪টি নকআউট করার বিরল কৃতিত্ব গড় অবসর নিয়েছিলেন তিনি।
তবে টাইসনকে নিয়ে সমালোচনাও কম নয়। ১৯৯৭ সালে ইভান্ডার হলিফিল্ডের কানে কামড় দিয়ে হয়েছিলেন তুমুল সমালোচিত। সে ঘটনায় ‘ব্যাডেস্ট ম্যান অন দ্য প্ল্যানেট’ বা বিশ্বের সবচেয়ে বাজে মানুষ হিসেবেও পরিচিতি পেয়েছিলেন তিনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।